জাদুঘর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


জাদুঘর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি প্রদর্শন কেন্দ্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এই জাদুঘর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে। বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বিজয় সরণিতে ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, জ্ঞান অর্জন ও বিনোদনের পাশাপাশি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আগ্রহী হতে পারবে নতুন প্রজন্মকে। জাদুঘরটি শুধু প্রদর্শনীর জন্যই নয়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে।

তিনি বলেন, দেশের জন্য কাজ করতে এলে বাধা আসে কিন্তু সেসব অতিক্রম করেছি।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সম্ভব হয়েছে।

জাদুঘরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যে ইতিহাস রয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং সেই সঙ্গে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী দেশের মানুষ যেন সে সম্পর্কে জানতে পারে, উপলব্ধি করতে পারে, আমাদের সামরিক বাহিনী অর্থাৎ সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী কি কাজ করে, কিভাবে চলে বা অতীতে তারা কি করেছে সে বিষয় মানুষকে জানানো একান্তভাবে দরকার। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা, একই সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ কি হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে জানা একান্ত দরকার।

সরকার প্রধান বলেন, আজকে যে সামরিক জাদুঘরটি আমরা দেখছি এটি প্রথমে নির্মিত হয়েছিল খুব ক্ষুদ্র পরিসরে। বিজয় সরণির পাশের জায়গাটিতে এটি প্রস্তুত করা হয়। আমার খুব আকাঙ্খা ছিল এটিকে খুব আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার। তারই পাশে আরেকটি জায়গায় আমি প্রথমবার যখন সরকারে আসি, প্লানেটোরিয়াম  করে ফেলি।

তিনি বলেন, যে কোনও কাজ আমি প্রথমবার যখন করতে গেছি, প্রতিটি ব্যাপারেই কিন্তু পরবর্তী সরকার এসে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। প্লানেটোরিয়াম  যখন আমি করলাম এর জন্য আমার বিরুদ্ধে দুটো মামলা দেওয়া হয়েছিল। কেনও দেওয়া হয় আমি ঠিক জানি না। আমরা যখন প্লানেটোরিয়াম  করেছি, তখনই সমস্ত ইউটিলিটি যেন সামরিক জাদুঘর এবং প্লানেটোরিয়াম উভয়েই শেয়ার করতে পারে সে ব্যবস্থাও নিয়েছিলাম। আর সেই সঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময় বিদেশে যখন আমরা যাই বা কোনও সরকার প্রধান যখন আমাদের দেশে বেড়াতে আসে তখন যে উপহার দেয় সেগুলো সংরক্ষণ করা এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে রাখা ও মানুষের সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থাও করি। আমাদের যে তোষাখানা জাদুঘর আছে বঙ্গভবনে, সেখানে স্টোর রুমের মতো জিনিসপত্রগুলো রাখা। কিন্তু সেগুলো মানুষের সামনে প্রদর্শন করবার ব্যবস্থা আমি নিয়েছি। সেই সঙ্গে এই জায়গায় আমরা তোষাখানা জাদুঘরও নির্মাণ করি। এবং এটা সামরিক বাহিনীর হাতেই দিয়েছিলাম, একটা কমিটিও আমরা করে দেই। 

শেখ হাসিনা বলেন, সেই সঙ্গে সামরিক জাদুঘরটাকেও অত্যন্ত আধুনিক করে গড়ে তোলা এবং এটা যেন দৃষ্টিনন্দন হয়, সারা বিশ্বের যত সামরিক জাদুঘর হয়েছে, তারমধ্যে যেন শ্রেষ্ঠ জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় সেটাই আমার আকঙ্খা ছিল। আমি এই জাদুঘরটি এখনও সরেজমিনে দেখিনি, প্রাথমিক পর্যায়ে যখন কাজ শুরু হয় তখন কিছুটা দেখেছি, যখন যতটুকু ডেভেলপ হয়েছে আমি ছবিতে দেখেছি, এবং যখন যেটা নির্দেশনা দেওয়ার আমি দিয়েছি, কিন্তু যতটুকু এখন দেখলাম আমি মনে করি, এটা হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, সুন্দর, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি সামরিক জাদুঘর। কাজেই সেভাবে এটি তৈরি হোক সেটাই আমি চাই।