১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে: সুপ্রিম কোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে আগামী রবিবার (২০ অক্টোবর) হতে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ তথ্য জানান।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, “আগামী ২০ অক্টোবর আদালত বসছে। ওই দিন থেকে বিচারকের আসনে ১২ জন বিচারপতিকে না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।”
তিনি আরও বলেন, “বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। এ বিষয়ে তড়িৎ গতিতে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না সুপ্রিম কোর্ট। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিতে এই ১২ জনকে বেঞ্চে না বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে এদিন বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নতুন জাতীয় দিবস যুক্ত হতে পারে: উপদেষ্টা নাহিদ
জানা গেছে, ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গেল ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের রদবদল করে। বিচারঙ্গণেও ব্যাপক রদবদল করা হয়।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে এখনও যারা কাজ করেছেন এমন বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার সকালে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আরও পড়ুন: আগে বিচার তারপর সমঝোতা, খুনিদের ক্ষমা নেই: মাহফুজ আলম
বুধধবার কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১টায় তাদের হাইকোর্ট ঘেরাও করার কথা। তাদের কর্মসূচি শুরুর আগেই ১২ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতির চায়ের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে, গেল ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করেছিল আন্দোলনকারীরা। সেদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভা ডাকা হলে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
জেবি/এসবি