দুই মাসে দেনা পরিশোধ দেড় বিলিয়ন ডলার

ফলশ্রুতিতে আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে সোয়া
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, রিজার্ভে হাত না দিয়ে মাত্র দুই মাসেই দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে পণ্য আমদানিতে।
গভর্নর গণমাধ্যমকে বলেন, “জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন উৎস থেকে আমাদের আমদানি করতে হয়। যার পেছনে সর্বশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “ডলার সংকট শুরু হওয়ার কারণে গেল ২ বছর ধরে এই ব্যয় সময়মতো পরিশোধ করা যায়নি। ফলশ্রুতিতে আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে বকেয়া পড়ে যায়। তবে, আশার খবর হলো গেল দুই মাসে রিজার্ভে কোনো প্রকার হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও ডিসেম্বরের মধ্যে শোধ করতে পারবো বলে আশা করছি। আর এর মাধ্যমে আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের অর্থনীতি।”
বিজ্ঞাপন
গভর্নর বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। আর সেটা ছিল ডলারের। আমরা তা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি।
বিজ্ঞাপন
এইচ মনসুর বলেন, সার ও বিদ্যুতের জন্য টাকা দেওয়াসহ সবার ঋণ কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ঋণ জিরোতে নামিয়ে আনা। এর মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যেমন চাপ কমবে, তেমনি গতি বৃদ্ধি পাবে সার্বিক কর্মকাণ্ডেও।
জেবি/এসবি