বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২১ পূর্বাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৪


বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে
ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউয়ের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এতে আবারও  বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বহাল রাখা হয়েছে।


রবিবার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে এখন থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’র হাতে ফিরে এসেছে।


এর আগে, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে ওই বছরের ৩ জুলাই আপিলটি খারিজ করে রায় দেন আপিল বিভাগ।


আরও পড়ুন: ১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪ বেঞ্চ পুনর্গঠন


পরে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই রিভিউ পিটিশন গত আট বছরেও শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্তু অন্তর্বতী সরকার আসার পর গত ১৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।


আরও পড়ুন: কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


উল্লেখ্য, গত ১৯৭২ সালে মূল সংবিধানে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ৭৫ সালে এই ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এরপর ১৯৭৭ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপরাসণের ক্ষমতা দেওয়া হয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। কিন্তু ২০১৪ সালে আওয়ামী সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।


জেবি/এসবি