আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৪
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর ড. ইউনূসের মামলা তড়িঘড়ি করে প্রত্যাহার কতটা আইন সঙ্গত ছিলো এ বিষয়ে বৃহত্তর শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে
এর আগে গেল ৩ অক্টোবর স্বপ্রণোদিত হয়ে ড. ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা ৬৬৬ কোটি টাকা দেওয়ার রায় প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওই দিন ‘নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৬৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে’ এমন রায় পূর্ণাঙ্গভাবে লিখতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি। পরে ৪ আগস্ট দেওয়া রায় প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল ৩ দিনের রিমান্ডে
গেল ৪ আগস্ট গ্রামীণ কল্যাণের এনবিআরের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর ফলে ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করার বিধান ছিল।
প্রসঙ্গত, গেল ১১ মার্চ গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
জেবি/এসবি