বাকপ্রতিবন্ধী হয়েও চালিয়ে যাচ্ছেন লেখাপড়া


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৪


বাকপ্রতিবন্ধী হয়েও চালিয়ে যাচ্ছেন লেখাপড়া
ছবি: জনবাণী

বাকপ্রতিবন্ধী হয়েও অন্য শিক্ষার্থীদের মত লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন নোয়াখালীর জেলার কবির হাট উপজেলার, কবির হাট মাদ্রাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম।


জানা যায় সাইদুলের ৪ বছর বয়সে জ্বরে আক্রান্ত হয়, ভালো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে সাইদুল বাকপ্রতিবন্ধী রোগে আক্রান্ত হয়, ঠিক মত চলতে পারে না খেতে পারে না অন্য কারো সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না ছায়দুলের বাবা ইসমাঈল হোসেন দীর্ঘ ছয় বছর প্রবাসে খোঁজ খবর নেন না স্ত্রী শারমিন আক্তার ও তার দুই সন্তানের। শারমিন তার দুই ছেলে সন্তান কে নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে, পারছে না বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে সাইদুলের চিকিৎসার খরচ চালাতে।


আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে হৃদয় হত্যার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 


সাইদুলের বাবা ইসমাঈল হোসেন এর বাড়ি ভোলা চর বসন ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও শারমিন আক্তারের বাবা   সোলাইমান কবির হাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে চৌধরী বাড়িতে ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ ১৮ বছর বসবাস করে যাচ্ছেন, সে তার দুই সন্তানকে নিয়ে তার বাবা মায়ের কাছে রয়েছেন। 


এই বিষয় শারমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ ছয় বছর প্রবাসে আমি এবং আমার দুই সন্তানের কোন খোঁজ খবর নেন নি, আমি আমার বাকপ্রতিবন্ধী সাইদুলের ঠিক মত চিকিৎসা চালাতে পারছি না, আমি সরকার ও বৃর্থবানের কাছে সহযোগিতা চাই তারা যেন আমার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলের পাশে দাঁড়ায়, সাইদুল উন্নত চিকিৎসা পেলে অতি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করেন সাইদুলের মা শারমিন আক্তার।


আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় কুমারী পূজা


শারমিনের বাবা সোলাইমান বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র  মাছ ব্যবসায়ী, ধার দেনা করে মেয়ে জামাইকে প্রবাসে পাঠায়, কিন্ত সেই প্রবাসে গিয়ে আমার মেয়ে ও দুই নাতির কোন খোঁজ খবর নেন না। 

 

স্কুল শিক্ষক ফেরদৌস আরা বলেন, সাইদুল একজন মেধাবী ছাত্র তার পড়ালেখার প্রতি অনেক অগ্রহ আছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সে ভালো হয়ে উঠলে অন্য শিক্ষার্থীদের মত প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে পারবে এবং পড়ালেখা করে ভালে কিছু করতে পারবে।


এমএল/