বঙ্গভবন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৩ অপরাহ্ন, ২২শে অক্টোবর ২০২৪
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বঙ্গভবন এলাকায় কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা যায়। বঙ্গভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পাশে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আরেক গ্রুপকে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গণজমায়েত শুরু
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা।”
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি। কিছু জনতা বিক্ষোভ করছেন, তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গেল ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, “তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।”
এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।
জেবি/এসবি