তওবা না করলে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৩ অপরাহ্ন, ৫ই নভেম্বর ২০২৪
তওবা না করলে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার দাবি হলো, যতদিন মাওলানা সাদ তার গোমরহী বক্তব্য থেকে তাওবা না করবেন, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্য’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। আমিরের বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির অফিসে আগুনের ঘটনায় রিজভীর নিন্দা
হেফাজতের আমির বলেন, সরকারের প্রতি আমার চাওয়া, তওবা না করা পর্যন্ত মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আজ পুরো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে কোরআন ও সুন্নাহর সহীহ বাণী পৌঁছেছে। সারা বিশ্ব আলোকিত হয়েছে। দাওয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেকের সঙ্গে মাখলুকের তায়াল্লুক সৃষ্টি করে দেওয়া। আত্মভোলা মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেওয়া। এই দায়িত্ব আমার আপনার এবং উম্মতে মোহাম্মদী সবার। এই দায়িত্ব পালনের জন্যই মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) তাবলীগের কাজ শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরুব্বি মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল, নবুয়ত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ী মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর বিবৃতী প্রদান করেছেন। তার বক্তব্যগুলো কোরআন-সুন্নাহবিরোধী, যা মেনে নেওয়া যায় না’।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে আবারও ফিরতে না পারে: ফখরুল
শাহ মুহিবুল্লাহ বলেন, দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে তার চিন্তাগত বিচ্যুতি ও বিচ্ছিন্নতা এবং অনেক বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও জুমহুরের মুত্তাফাকা তথা ঐকমত্য সমর্থিত মাসআলা ও মাজহাবের খেলাফ করার কারণে শরিয়ত মতে তার এতা’য়াত (মাওলানা সাদের আনুগত্য করার) জায়েজ নেই।
হেফাজতে আমীর উল্লেখ করেন, মাওলানা সাদ এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে বাজে ভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। আলেমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেছেন। তিনি আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে এখনো রাজি হননি।
হেফাজতের আমির বলেন, অতএব ব্যক্তি মাওলানা সাআদের কারণে ছাত্র-জনতা ও আলেম-ওলামাদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীন নতুন এই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক এবং অন্তর্বর্তী সরকার বেকায়দায় পড়ুক আমরা চাই না। আশা করি সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।
এমএল/