শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে হঠাৎ কারখানা কর্তৃপক্ষ অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া রেখেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আবদার গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় জৈনা বাজার-কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এতে সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে চাঁদার দাবিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ, হামলার অভিযোগ
সড়ক অবরোধের তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এইচডিএফ অ্যাপারেলস কারখানার নারী শ্রমিকেরা বলেন, গত অক্টোবর ও চলতি মাসের বেতন পাওনা। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধ না করে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে পালিয়েছে। সকালে কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার শ্রমিক সালমা আক্তার বলেন, শুধুমাত্র মরিচ দিয়ে ভাত নিয়ে এসেছি খাওয়ার জন্য। আমরা খুবই কষ্টে আছি। দেয়-দিচ্ছি করে আমাদের দেড় মাস ধরে ঘুরাচ্ছে। দেড় মাস বেতন না পেলে কীভাবে চলি? আমাদের দোকানি এক মাসের বেশি বাকি দেয় না। মাস শেষে বাড়ির মালিক বাড়ি ভাড়ার জন্য চাপ দেয়। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে এ জন্য রাস্তায় নেমে এসেছি।
একই কারখানার শ্রমিক নাজমিন আক্তার বলেন, বেতন দেয়-দিচ্ছি করে দেড় মাস। বেতন তো পরিশোধ করেনি। শ্রমিকদের না জানিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ। কী করব? পেট তো আর দেয়-দিচ্ছি আজ না কাল শুনে না। পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছি। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়ব না। কপালে যা আছে তাই হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীসহ প্রেমিক কে হত্যা স্বামীর
বেতনের তারিখ শেষ না হতেই বাড়ির মালিক ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বলে জানান পোশাক শ্রমিক শামীমা আক্তার। তিনি বলেন, মুদি দোকানিতে বাকি পড়ে আছে। সামান্য কষ্টের কারণে সড়কে আসেনি। এমন রোদে আপনারা তো থাকতে পারেন না। আমরা ঘণ্টাব্যাপী আছি কীভাবে? পেট তো আর কষ্ট বোঝে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ মাসশেষে দিতে হয়। শ্রমিকদের কষ্ট কেউ বোঝে না।
এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা পিন্স মাহমুদের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া কারখানায় কর্তৃপক্ষের পক্ষে কাউকে পাওয়া যায়নি।
আরএক্স/