আম বাগানে আদা চাষ যুবকের বাজিমাত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১২ অপরাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪
নওগাঁর মান্দায় বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করে বাজিমাত করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল।
কৃষিখাতকে ভালোবেসে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল ২০১৩ সালে সম্পন্ন করে কৃষি ডিপ্লোমা। আম বাগানে আদা চাষ করে তিনি ১২ লাখ টাকা লাভের আশা করছে।
বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি তিনি আম বাগানে ৫ হাজার ২৮০ বস্তা বারি আদা-২ জাতের আদা চাষ করেছেন। মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেলের বাড়ি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের নাড়াডাঙ্গা গ্রামে। এরআগে এই এলাকায় কেউ আদা চাষ করেননি বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে মজিদ বক্স লাউ চাষে স্বাবলম্বী
উদ্যোক্তা আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল জানান, জমিতে আম বাগান করি এবং আমের মৌসুমের পরে জমি ফাঁকা পরে থাকে। এরপর মাথায় চিন্তা আসলো বাগানের মধ্যে অন্য কি ফসল চাষ করা যায়। এরপর মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে মসলার উন্নত জাত ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আদার প্রদর্শনী দেয়।
প্রকল্প থেকে প্রদর্শনীর জন্য ৫০০ বস্তা আদা চাষের সহায়তা দিলেও আমি ৫ হাজার ২৮০ বস্তায় আদা চাষ শুরু করি। প্রতি বস্তায় আদা চাষ করতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে আমি ১২ লাখ টাকা লাভের আশা করছি।
স্থানীয় কৃষক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আম বাগানে চাষ এর আগে কখনো দেখিনি। আমারও জমি আছে। সোহেল যেভাবে বস্তায় আদা চাষ করেছে তা দেখে আমরা অনেক খুশি হয়েছি, আগামীতে আমিও আদা চাষ করবো।
আরও পড়ুন: পাবনায় শিম চাষে লোকসানের আশঙ্কা
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. শায়লা শারমিন জনান, তরুণ উদ্যোক্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেলকে আমরা বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে উৎসাহিত করেছি। উদ্যোক্তাকে নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে মসলার উন্নত জাত ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী স্থাপন করেছি যাতে করে কৃষকরা বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে উৎসাহিত হয়।
এ প্রসঙ্গে মসলার উন্নত জাত ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সমলার আমদানি হ্রাস করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। তারই লক্ষ্যে এ বছর ১ কোটি ৮ লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে, আমরা আদা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি ১০ লাখ মেট্রিক টন। উদ্যোক্তা সোহেল বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পতিত জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা-হলুদ চাষ করে দেশিয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি হ্রাস করতে হবে।
এমএল/