মিয়ানমারে বিমান হামলা, আতঙ্কে সীমান্তবাসী
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ২০শে নভেম্বর ২০২৪
মায়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে এমনিতেই কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার জান্তা সরকারের বিমান হামলায় থেমে থেমে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্তের বাড়িঘর।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অপহরণ চক্রের প্রধান বদরুদ্দোজা অস্ত্রসহ গ্রেফতার
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত এই বিমান হামলা ও মর্টারশেল নিক্ষেপের শব্দ পাওয়া যায়।
জানা যায়, মায়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকার খাইংখালী, পালংখালী, রহমতের বিল, আঞ্জুমান পাড়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে বিমান ও মর্টার শেল হামলার শব্দে কেঁপে ওঠে বাড়িঘর।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পাল্লান পাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, মায়ানমারে চলমান যুদ্ধে এমন শব্দ কোনো দিন শুনিনি। মনে হয় বাংলাদেশে সীমান্তে এসে পড়ছে। সীমান্ত থেকে আমার বাড়ি চার কিলোমিটার দূরে। তবুও বাড়ি যেভাবে কেঁপে উঠল, তা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
পালংখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিন বলেন, দীর্ঘদিন মায়ানমারে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও রাত থেকে আবারও গুলি ও মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রয়েছি। গত এক বছর ধরে চলছে এই যুদ্ধ।
শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে বসবাসকারী দিল মোহাম্মদ বলেন, বিমানে নাফ নদীর ওপর দিয়ে ঘুরে হামলা চালাতে দেখা গেছে। যুদ্ধের কারণে আমাদের মসজিদের দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে দুইদিন পর ফেরা অপহৃত ৯ কৃষক নিয়ে প্রশ্ন
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সীমান্তে মাঝেমধ্যে গুলি এসে পড়ে এবং শব্দের জন্য লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। নিজেদের সতর্ক থাকার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চলমান সংঘাতের কারণে যাতে নতুন করে সীমান্তে ও নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে নিয়মিত টহল রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় প্রস্তুত।
এসডি/