টেকনাফে দুইদিন পর ফেরা অপহৃত ৯ কৃষক নিয়ে প্রশ্ন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১২ অপরাহ্ন, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত ৯ জন কৃষক দুইদিন পর ফিরলেও সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ দাবি করছে, পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে অপহরণকারি চক্র এদের ছেড়ে দিয়েছে। আর স্থানীয় এলাকাবাসি বলছে, গোপনে স্বজনরা মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে গ্রেনেড, রকেট বোম্ব, গুলিসহ আটক ১
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অপহৃত দুই রোহিঙ্গাসহ ৯ জন এলাকায় ফিরেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী ।
তিনি জানিয়েছেন, শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে স্বজনরা কত টাকা এবং কাকে মুক্তিপণ দিয়েছে এটি বলতে রাজী হচ্ছে না।
অপহৃতরা হলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন অপহৃত ৯ জনকে ছেড়ে দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারি চক্রের সদস্যরা এদের ছেড়ে দিয়েছে।
মুক্তিপণ পরিশোর বিষয়টি তিনি জানেন না দাবি করে বলেন, ফেরা কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারি চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফের ‘স্বঘোষিত ইয়াবা কারবারি’ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভোক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৮জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
এসডি/