বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি

তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে শত শত হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর আবারও বাংলাদেশকে নিয়ে ‘মিথ্যা’ খবরে সয়লাব হয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলতে এসে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সব সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় ইসকন প্রসঙ্গেও। রণধীর জসওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জবাবে তিনি বলেন, ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
এ ছাড়া বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে রণধীর জসওয়াল বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আশা করি, তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেটি স্বচ্ছ এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তাদের যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পাবে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/