মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৯ অপরাহ্ন, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৪
গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায়। বাতাসের দাপটে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হাড় কাঁপানো এ শীত ও কুয়াশার সঙ্গে হিমশীতল বাতাসে মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এ জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কয়েকদিনের মাঝেই মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শীতজনিত রোটা ভাইরাস ও আবহাওয়াজনিত কারণে আক্রান্ত হয়ে জেলার সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এ করণে চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩০০ এর অধিক ডায়রিয়া রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৪০০-৫০০ শতাধিকেরও অধিক রোগী। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তিরত শিশুর মা পলি খাতুন বলেন, ‘গত চারদিন যাবৎ আমার আট মাসের ছেলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। রোগীর এতো চাপ যে এখানে থাকতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। কোনো বেড নেই, ঠান্ডায় মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তারপরেও ছেলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে তো হবেই।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকসা চালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, মামা রাতে রিকশা চালাই, দিনে বিশ্রাম করি। গত দুদিন যাবৎ একটু বেশিই শীত পড়ে। এর মধ্যে আজ রাতে বাতাসের কারণে শরীরে কাপুনি ধরে যাচ্ছিল। হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছিল। এ রকম হলে রাতে রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিগ্রিতে নামল দিনাজপুরের তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পপর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসডি/