৩ বিয়ে করা প্রেমিকের, ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ৫ই জানুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সন্দীপ থেকে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীকে ভাগিয়ে এনে বিয়ের চেষ্টা করেছে এক প্রতরক প্রেমিক, প্রেমিক এর পূর্বে ও করেছেন তিন বিয়ে।
রবিবার (৫জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যেম লক্ষীদিয়া গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটেছে ।
আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবিতে হাতিয়া নিঝুমদ্বীপে মানববন্ধন
প্রতারক প্রেমিক এর পূর্বেও করেছেন তিনটি বিয়ে, স্বন্দীপ উপজেলায় রাজমেস্তুরীর কাজ করার সুবাদে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে পরিচয়, একপর্যায়ে উভয়ের মাঝে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। পূর্বের বিয়ের কথা গোপন করে প্রেমিকাকে দেখানো হয় বিয়ের প্রলোভন।
অতপর স্বন্দীপ থেকে ভাগিয়ে নোয়াখালী হাতিয়ায় এনে করেন ৪র্থ বিয়ের চেষ্টা,কিন্তু নিজ এলাকার মানুষের নিকটে বিষয়টি জানাজানি হলে, ঘটনাস্থলেই ছুটে আসে স্থানীয়রা, বিয়ে বন্ধ করে থানায় খবর দিলে একপর্যায়ে হাতিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
প্রতারক প্রেমিক মো. ফখরুল ইসলাম (২৬) উপজেলার পৌরসভা মধ্যেম লক্ষীদিয়া ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে। অপর দিকে প্রেমিকা নাজমা বেগম (১৪) সন্দ্বীপ থানার পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের শাফলা এলাকাবাসির বাসিন্দা, শাপলা এলাকাবাসী গ্ৰামের বাসিন্দা মো জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েকে নিতে হাতিয়ায় ছুটে আসেন বাবা জামাল উদ্দিন (৫৫), এবং মেয়ের খালু আবুল কাশেম(৬০)। কথা হয় তাদের উভয়ের সাথে এবং স্থানীয়দের অনেকের সাথে।মেয়ের খালু আবুল কাশেম বলেন, ছেলেটি স্বন্দীপে রাজ মেস্তুরির কাজে আসলে মেয়ের পরিবারের অজান্তেই আমার বায়রাজি কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ায় ভাগিয়ে নিয়ে আসে অথচ আমার ভায়রাজির বয়স কিন্তু মাত্র চৌদ্দ বছরে পদার্পণ করেছে অর্থাৎ অবুঝ। এখন আমরা মেয়েকে নিতে এসেছি এবং হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অভিহিত করার পর উনারা উদ্ধার করে আমাদের নিকটে হস্তান্তর
করেন।
মেয়ের বাবা বলেন আমি প্রতারক ফখরুল ইসলামের বিচার চাই, এর পূর্বে ও নাকি সে আরও তিনটি বিয়ে করেছে।
এলাকাবাসীর মধ্যে মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ছেলেটির চরিত্র ভালো নয়, এর পূর্বে ও সে তিনটি বিয়ে করেছে। সর্বশেষ স্ত্রী এখন তার অত্যাচারে বাবার বাড়িতে রয়েছে। তাছাড়াও মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪বছর তাও নাকি আবার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।
আরও পড়ুন: জোয়ারে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রতারক প্রেমিক মো. ফখরুলের মা বলেন, কোন মতেই মেয়েটিকে আমরা ঘরে জায়গা দিবো না। নিজ ছেলের বিষয়ে তিনি বলেন, সে খুবই দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে, আমাদের কথাবার্তা শুনে না। তার প্রথম বিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হলেও পরবর্তীতে সে আরো দুই বিয়ে করেছে।
প্রতরক প্রেমিক বর্তমানে প্রশাসনের ভয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি একে এম আজমল হুদা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জেনে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এবং একপর্যায়ে মেয়েটিকে তার পরিবারের স্বজন বাবার নিকটে হস্তান্তর করেছি।
এসডি/