রাবিতে ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন পুড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ( রাবি) ৫টি আবাসিক হলে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন পুড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ সমাবেশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাবির আবাসিক হলে পোড়াল আল- কোরআন, বিজেপির প্রতীক অঙ্কন
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনে আগুন দেওয়া মানে মুসলমানদের কলিজায় আগুন দেওয়া। ৫ই আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর একটা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চেষ্টা করছে। যারা এসব অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। যারাই এই কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে তাদের ৪৮ ঘন্টার ভিতর চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা ।
বিক্ষোভ সমাবেশে একাত্মতা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ বলেন, আমার মনে হয় প্রত্যেক ধর্মের মানুষ অর্থাৎ একজন ধর্মবান মানুষ সে যেই ধর্মের-ই হোক এহেন ঘটনায় মর্মাহত হবে। বর্তমানে, দেশেও আমাদের ক্যাম্পাসকে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে আমাদের সবাই কে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো রামুর সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। আমরা আর কোনো দাঙ্গা চাই না। এই ক্যাম্পাসে এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি এবং এই প্রথম, আমার বিশ্বাস তারাই এটা ঘটিয়েছে৷
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক এই বিষয়ে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বৈঠক করেছে এবং তাদের বিষয়ে অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের খুজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে রাবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, কাল রাতে গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় স্পন্দন আল-কোরআনকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকে এখানে এসে জানতে পারলাম, আরও তিনদিন আগও নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদেও এরকম ঘটনা ঘটেছিলো।
তিনি বলেন, গত ৫ তারিখের পরে যারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে তারাই এই কাজ করেছে। আজ এখান থেকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম এর ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জড়িতদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক
উল্লেখ্য, শনিবার (১১জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ধর্মগ্রন্থ আল- কোরআন পুড়ানোর খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে এক জরুরি সভায়, ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষ ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে এই কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসডি/