সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকে শাস্তি

১৬ নেতাকর্মীর সনদ বাতিল, স্থায়ী বহিষ্কার, সনদ স্থগিত ও বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর সনদ বাতিল, স্থায়ী বহিষ্কার, সনদ স্থগিত ও বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে চারজনের সনদ বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুইজনের সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু নাঈম আব্দুল্লাহ ওরফে যাযাবর নাঈমকে স্থায়ী বহিষ্কার, সাবেক উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জয় মোড়লকে স্থায়ী বহিষ্কার ও স্নাতকের সনদ বাতিল, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক লোবন মোখলেছকে স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ তুহিনকে স্নাতকের স্থায়ী বহিষ্কারসহ সনদ বাতিল, ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা ফাহিম সিরাজিকে স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক হিমেলকে এক বছর, সাবেক উপশিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মাছুম বিল্লাহকে এক বছর, ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ানুল কবীর রাব্বিকে তিন বছর, আবু রায়হানকে তিন বছর, গালিব ফয়সাল নির্ঝরকে দুই বছর, সৌমিক জাহানকে তিন বছর, নাঈমুল ইসলাম অনিককে এক বছর, পবিত্র মন্ডলকে এক বছর এবং আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়ারকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন অনুষদের সহ-সম্পাদক হাবিবুল্লাহ জামিরকে স্নাতকোত্তর সনদ ও ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন হাসানের স্নাতক সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লাহ এবং ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও যায়যায়দিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহসান হাবীবের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েক দফায় মারধর করেন আবু নাঈম আব্দুল্লাহর অনুসারীরা। এ ঘটনায় ওইদিনই তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে সভাপতি ও তৎকালীন প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্যসচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
এসডি/
বিজ্ঞাপন








