মাস্তল ফাউন্ডেশনের ১ লাখ কেজি চাল বিতরন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০১ অপরাহ্ন, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫


মাস্তল ফাউন্ডেশনের ১ লাখ কেজি চাল বিতরন
ফাইল ছবি

২৪‘র ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে  সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। প্রাণআরএল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ এবং তমা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছে চাল বিতরন কর্মসূচি।


শনিবার (১৮ জানুয়ারি) তিনদিন ব্যাপী দক্ষিণবঙ্গের নোয়াখালি ও পরশুরামে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।


আরও পড়ুন: বিসিআইসিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুই নেতার প্রাইজপোস্টিং


নোয়াখালি জেলার পরশুরাম উপজেলার শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম মাঠ এবং পরশুরাম সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চাল বিতরণ কর্মসূচি করা হয়েছে। উদ্বোধনী চাল বিতরণী প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী।


আলোকিত ব্লাড ডোনেট ক্লাব (পরশুরাম) নোয়াখালি জেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন সার্ভিস ফর হিউমিং বিং অরগানাইজেশন, দরিদ্রতা রুখে দাও ফাউন্ডেশন, এসসিডব্লিড,ও নিরাপদ সড়ক চাই নোয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চাল বিতরণ কর্মসূচি। 


মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মানবতার সেবায় মাস্তুল ফাউন্ডেশন যে কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা যে উদাহরণ তৈরি করেছে, তা সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।


মাস্তুল ফাউন্ডেশনের একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, বন্যার সময় আমরা কাছ থেকে দেখেছি মানুষের দুর্ভোগ। মাস্তুল ফাউন্ডেশন সবসময় চেষ্টা করে তাদের পাশে থাকার, যাতে আমরা অন্তত কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট কমাতে পারি এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করতে পারি।


মাস্তুল ফাউন্ডেশন বহুমুখী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও বৃদ্ধআশ্রম যেখানে শতাধিক পিতা মাতাহীন এতিম শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বসবাস করেন। এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরন দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে।


এছাড়া চিকিৎসা খাতে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে 'মাস্তুল এইড' প্রকল্পের মাধ্যমে অর্ধশতাধিকের অধিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অসচ্ছল পঙ্গুত্ববরণকারী রোগীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হুইলচেয়ার ও কৃত্রিম পা দিয়ে সাবলম্বী করছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১ হাজার জনের বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। মাস্তুলের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের অধিক লাশ দাফন হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যাবস্থা হয়।


আরও পড়ুন: সাড়ে ১৫ বছর পর আজ মুক্তি পাচ্ছেন বিডিআরের ১৬৮ জওয়ান

 

চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম,

নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখিনূর জাহান নীলা, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান প্রমূখ। 


এসডি/