পাদুকার উপর বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি


Janobani

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৯ অপরাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫


পাদুকার উপর বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি
ছবি: প্রতিনিধি

প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার ১৫০ টাকা মূল্য সীমার মধ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ণবহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি। 


সংগঠনটি জানায় পূর্বের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।


শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলোনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান।


আরও পড়ুন: সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরছে বাজারে


সমিতির সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার উপর ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব অত্যন্ত অযৌক্তিক। যদি এটি কার্যকর হয়, তাহলে সাশ্রয়ী এই পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।’ 


তিনি আরও বলেন, "যেদিন থেকে এই পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, সেদিন থেকেই এর ভ্যাট অব্যাহতি ছিল। এমনকি রি-সাইকেলিং থেকে তৈরি দানার কোনো ভ্যাট নেই। তাহলে কেন এই পণ্যটির উপর ভ্যাট আরোপ হবে?" তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভোক্তারা ক্রয়ক্ষমতা হারালে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।


সমিতির নেতারা আরও উল্লেখ করেন যে, ভ্যাট অব্যাহতির ফলে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল, যা দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এত উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১৫০ টাকা দামে রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছিল। কম উৎপাদন খরচের সুবিধা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর ফলে দরিদ্র জনগণ সহজে এই পণ্যগুলি ক্রয় করতে পারছিল।


ব্যবসায়ীদের মতে, এই পণ্যের উপর ভ্যাট ও কর চাপানো হলে দেশের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের বৃহৎ জনগণ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা আরও জানান, ভ্যাট আরোপের ফলে ভোক্তারা ক্রয়ক্ষমতা হারালে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, যা পাদুকা শিল্পের জন্য এক বড় বিপর্যয় হবে।


আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলুতে স্বস্তি মিললেও বেড়েই চলেছে চাল-মুরগির দাম


সরকারের প্রতি সংগঠনের নেতারা দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে পাদুকা শিল্প এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়। তারা আরও বলেন, যদি তাদের দাবি আদায় না হয়, তবে তারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান সাজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।


আরএক্স/