বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস- অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস- অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ

লেখক: অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

২০২২ সালের ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আন্তর্জাতিক ভাবে এবং জাতীয় পর্যায়ে দেশে দেশে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়, এর কারণ হচ্ছে জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’’ এর জন্মদিন ৭ এপ্রিল ১৯৪৮। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার ২ মাস পর ২৪ জুন ১৯৪৮ সালে এই সংস্থার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জেনেভায়। সেই সময় সারা বিশ্বের ৪৬ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। সেই সম্মেলন থেকেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৫০ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল“নো ইউর হেলথ সার্ভিসেস” যার অর্থ “নিজের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সচেতন হোন”। এভাবে ৭০ বছর ধরে ৭ এপ্রিল বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে “বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস” । প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উক্ত সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজের সাথে সম্পৃক্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করে থাকে।

এবারের বিশ্ব গত দুই বছরের ও বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ নামক অদৃশ্য শক্রর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং বিশ্ব জুড়ে সকল সেক্টরেই কঠোর ভাবে আঘাত করেছে এই  প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষাধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৬২ লক্ষাধিক মানুষ এই প্রাণঘাতি ভাইরাসে মৃত্যু বরণ করেছেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৫২ হাজার আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ প্রায় ২৯ হাজার ২০০ জন।

২০২২ সালের ৭ এপ্রিল এবারের প্রতিপাদ্য “Our Planet, our Health”। আমরা বর্তমানে একটি অসম পৃথিবীতে বসবাস করছি। যেখানে কিছু লোক স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছে, অন্যদের তুলনায় মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবায় বেশি সুযোগ পাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে - বসবাসের ক্ষেত্রে অধিক পরিমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। অপর দিকে সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দৈনিক আয়ের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছে জীবনের সাথে, আবাসন সংকট প্রকট এবং সুশিক্ষার ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ পাচ্ছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব, বৃহত্তর লিঙ্গ বৈষম্য, নিরাপদ পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি- নির্মল বায়ু ও নিরাপদ খাদ্য সংকট এবং সংকটাপন্ন স্বাস্থ্য পরিসেবা। এই সকল বিষয়গুলো আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতিকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এই সমস্যা গুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্ভব। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নতকরণে, সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব নেতাদেরকে বদ্ধপরিকর হতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনিদের্শনায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই করোনাকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তবে একথা সত্য যে তার নিরলস পরিশ্রম অদম্য মনোবলের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের আগেই করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি সেখানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা মাত্র ১৭ কোটি। কোভিড-১৯ এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৯ লাখ মানুষ, সেখানে বাংলাদেশে মারা গেছে ২৯ হাজার। আয়তনের দিক দিয়েও বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক ছোট। সে তুলনায় করোনা মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। জার্মানির আয়তন বাংলাদেশের প্রায় তিনগুন আর জনসংখ্যা বাংলাদেশের অর্ধেক। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের আয়তন বাংলাদেশের দ্বিগুণ আর জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় পয়ত্রিশ ভাগের এক ভাগ। সে হিসাবে বলা যায় করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের তুলনায় উল্লেখিত দেশ তিনটির কাজ সহজ ছিল। মূলত সীমিত আয়তন ও বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তেতা মোকাবেলা করে চলেছেন। কিছুদিন পূর্বে গণটিকা কর্মসূচীতে ১ দিনে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে একদিনে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। বিশ্বের ১১৭ টি দেশের মধ্যে ৪২ টি দেশে জনসংখ্যার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ। যেখানে ৪২ টি দেশে সর্বমোট জনসংখ্যাই ১ কোটি ২০ লাখ সেখানে আমরা ১ দিনে  ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে সক্ষমতা পরিচয় দিয়েছি। গত ২৯ মার্চ ২০২১ইং তারিখে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বিশ্বিবিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সমূহ হলোঃ
 Haematological Parameters and Antibody Titre After Vaccination Against SARS-COV-2  শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, বিএসএমএমইউ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্ট-এর গবেষণা, কোভিড-১৯-এর ৭৬৯টি জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল, শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খাদ্যে ক্ষতিকারক উপাদানের উপস্থিতি (ফুড হ্যাজার্ড) নিয়ে ৩টি গবেষণার ফলাফল, এবং বিশ্ব প্রবীণ দিবসে প্রবীণদের পুষ্টিসহ ৩টি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। 

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু, বেতার ভবনে ১০০ শয্যা করোনা ইউনিট এবং ননকোভিড রোগীদের জন্য ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিট, ২০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতাল চালু, রোগীদের সুবিধার্থে বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোর চালু, ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগ চালু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর প্রথমবারের মতো হেলথ কার্ড চালু, পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রাইনোলজি ক্লিনিক, পেডিয়াট্রিক থাইরয়েড ক্লিনিক ও গ্রোথ ক্লিনিক, রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিমেচিউরিটি (আরওপি) ক্লিনিক, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগে ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল থেরাপি প্রতিস্থাপনের মহতী কার্যক্রম, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনোলজি বিভাগে স্থাপিত স্বয়ংক্রিয় জীবাণু সানাক্তকরণ. এ্যান্টিবায়োটিকের সংবেদনশীলতার মাত্রা নির্ধারণের মেশিনের কার্যক্রম, শিশু সার্জারি বিভাগে স্কিল ল্যাব, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও ৩টি ডিভিশন এবং হিজরা নামে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বহির্বিভাগ ক্লিনিক, কলোরেক্টাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং টেস্ট (ফিকাল ইমিউনোকেমিকেল টেস্ট-ফিট) এর উদ্বোধন, মেলনিউট্রিশন ক্লিনিক, অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের উদ্যোগে স্কিল ল্যাব, শিশুদের মেরুদন্ডের বাঁকা হাড় সোজাকরণ ইউনিট, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি ওপিডি স্পেশাল ক্লিনিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এন্ড থ্যালাসেমিয়া ডে-কেয়ার সেন্টার ও শিশু পালমোলজি ওয়ার্ড এবং মুভমেন্ট ফর থ্যালাসেমিয়া ইরাডিকেশন ইন বাংলাদেশ এর উদ্বোধন, প্যাথলজি বিভাগের সাইটোজেনেটিকস ল্যাব এ ফিস টেস্ট এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগে ইমারজেন্সী ল্যাব এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। 

এছাড়াও নন-রেসিডেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের ভাতা প্রদান, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে আরর্থ্রোস্কোপি ইউনিটে না কেটেই সফলভাবে শোল্ডার জয়েন্ট আরর্থ্রোস্কোপির মাধ্যমে ব্যাংকার্ট রিপেয়ার কার্যক্রম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন, সফলভাবে ইনফার্টিলিটির চিকিৎসায় স্টেম সেল প্রয়োগ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর, কোর্স আউটদের সুযোগ, রেসিডেন্ট, ননরেসিডেন্টদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পন্ন করা হয়। 

একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবার অসম্পূর্ণ দিক গুলো বস্তুনিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। সমাধানগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং মানুষের সাথে একত্রে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে নির্ভরযোগ্য তথ্য/ডাটা সংগ্রহ করা। সময়োপযোগী এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য তথ্য এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যেন লিঙ্গ, বয়স, উপার্জন, শিক্ষা, মাইগ্রেশনের স্থিতিশীলতা, অক্ষমতা, ভৌগলিক অবস্থান এবং জাতীয় প্রসঙ্গ ইত্যাদি পৃথকভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রাধান্য পায়। কেবলমাত্র তখনই বিশ্ব জনসংখ্যার উপগোষ্ঠীগুলোতে অসম্পূর্ণতাগুলো মূল্যায়ন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

অসমতার মূল কারণগুলো মোকাবেলায় এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারী সাহায্য সহযোগিতার পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ এবং আগামী দিনের  স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য আজকের দিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা খুবই জরুরী।
জাতীয় সীমানা ছাড়িয়ে স্বাস্থ্য সেবায় আইনের প্রয়োগ হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কেবলমাত্র যখন আমরা দেশের সীমানা পেরিয়ে গোটা বিশ্বব্যাপী সুরক্ষা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারবো তখনই কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারী কে শেষ করা সম্ভব হবে। ভ্যাকসিন, পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ন্যায়সঙ্গত সরবরাহের আশ্বাস প্রদানের পাশাপাশি আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় এবং আন্তজার্তিক বিভিন্ন প্রত্রিুয়াগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সেবায় সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার পর্যন্ত নিয়মি