ট্রাম্পের শর্ত মেনে নিলো কলম্বিয়া, প্রত্যাহার করা হলো শুল্ক


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:৩২ অপরাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫


ট্রাম্পের শর্ত মেনে নিলো কলম্বিয়া, প্রত্যাহার করা হলো শুল্ক
ফাইল ছবি।

ক্ষমতায় এসেই দেশে বসবাসকারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ডিপোর্ট করতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিমানে তুলে তাদের পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এমনই দুটি মার্কিন বিমানকে কলম্বিয়া অবতরণ করতে দেয়নি।


যার জেরে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কিন্তু পরে কলম্বিয়া জানায়, তারা ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিতে রাজি। বেইনিভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে, তাদের সবাইকে ফেরত নেবে কলম্বিয়া।


আরও পড়ুন: তুরস্কের স্কি রিসোর্টের হোটেলের আগুনে নিহত বেড়ে ৭৬, আটক ৯


যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠালেও কলম্বিয়া আপত্তি জানাবে না। এরপরই কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ হারে জারি করা শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। 


এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, কলম্বিয়ার সমস্ত জিনিসের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ করা হবে। কলম্বিয়ার নাগরিকদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে না ভিসা।


পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছিল কলম্বিয়াও। ট্রাম্পের এই হুমকির পরেই সমস্ত মার্কিন জিনিসের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কলম্বিয়ার প্রশাসন।


ট্রাম্প আরও লিখেছিলেন, কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মতে, কলম্বিয়া দেশের দুষ্কৃতকারীদের আমেরিকায় পাঠিয়ে দিয়েছিল বেআইনিভাবে। তাদের ফিরিয়ে নিতে তারা বাধ্য। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিমান নামতে না দিয়ে কলম্বিয়া আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে।


কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো রবিবার জানিয়েছেন, সব বিষয়ের কিছু নিয়ম এবং প্রোটোকল আছে। শরণার্থীদের সঙ্গে আমেরিকা যে ব্যবহার করেছে, তা অন্যায়। তাদেরকে সামান্য সম্মানটুকুও দেখানো হয়নি।


পেট্রোর বক্তব্য, “শরণার্থীরা দুষ্কৃতকারী নন। সহানুভূতির সঙ্গে তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। আমেরিকা সে কাজ করেনি, তা-ই আমি আমেরিকার সেনাবাহিনীর বিমান ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি।”


পেট্রো জানিয়েছেন, কলম্বিয়া থেকে আমেরিকায় চলে যাওয়া শরণার্থীদের তিনি দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। কিন্তু তাদের সেনাবাহিনীর বিমান নয়, বেসামরিক বিমানে পাঠাতে হবে। তাদের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের মতো ব্যবহার করা যাবে না।”


আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু বিএসএফের


পরে কলম্বিয়া দেশের প্রেসিডেনশিয়াল বিমান আমেরিকায় পাঠাতে রাজি হয়েছে। তাতে করে শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। পেট্রো হুমকি দিয়েছিলেন, মার্কিন জিনিসের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে। পরে অবশ্য তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।


এরপরই আমেরিকা জানিয়ে দেয়, কলম্বিয়ার নাগরিকদের আপাতত আর মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। বোগোটায় মার্কিন দূতাবাসকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়। বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে আমেরিকা। বলা হয়েছে, কলম্বিয়া শরণার্থীদের ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে।


আরএক্স/