অবরোধ থেকে সরেননি তিতুমীর শিক্ষার্থীরা, চরম ভোগান্তি


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৫ অপরাহ্ন, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫


অবরোধ থেকে সরেননি তিতুমীর শিক্ষার্থীরা, চরম ভোগান্তি
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে মহাখালী রেলগেটে সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে করে রেলগেট এলাকার উভয় সড়ক এবং ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখের সম্পূর্ণ রেললাইন বন্ধ হয়ে গেছে।


সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। এতে করে সড়ক ও রেলযোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।


আরও পড়ুন: তিতুমীর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মানুষ অতিষ্ঠ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে এই অবরোধ চলমান থাকবে৷ এখনও চারপাশ থেকে শিক্ষার্থীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে ঘিরে রেখেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষা উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত, মানী না মানী না’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘টিসি না টিউই, টিউই টিউই’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কি করে’, ‘প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানী না মানবো না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।


নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রেলগেট এলাকায় দায়িত্বপালন করা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এখানে যেন কোন ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের চারপাশে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজরে রেখেছেন। এর আগে, বিকেলে মহাখালী রেল গেট এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এসব বিজিবি সদস্যরা রেল রেলগেটের বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান ভেঙে নতুন এয়ারলাইন্স তৈরির সুপারিশ


প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। 


এমএল/