বৈধ ভিসায় কুয়েত এসে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরছেন প্রবাসীরা
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:৫৩ অপরাহ্ন, ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২০২৪ সালে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন দেশের মোট ৩৫ হাজার প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
জানা গেছে, ভিসার ধরণ ও স্থানীয় আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় টাকা দিয়ে বৈধ ভিসা কিনে কাজ না পেয়ে অবৈধ হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রবাসী এবং পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার হয়ে দেশে ফিরছেন উল্লেখ যোগ্য প্রবাসীরা। এছাড়া গ্রেপ্তার কৃতরা পুনরায় নতুন ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করা যোগ্যতাও হারাচ্ছেন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকেরা ব্যক্তিগত কাফিল/ স্পন্সরশীপের ভিসায় গৃহকর্মী ২০ নম্বর বা ছোট কোম্পানি ১৮ নাম্বার ভিসা এর অধীনে ৮ লাখ থেকে ১১ লাখ টাকার বিনিময়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে খাদেম ফ্রী ২০নং ভিসায় বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে যাওয়ার কিছু দিন পরে মালিক (কাফিল) ওই কর্মীর (ভিসা) ইকামা বসবাসের অনুমতি বাতিল করে অন্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছেন বা স্থানীয় আইনে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন এতে প্রবাসী কর্মী অবৈধ হয়েযান। এছাড়া কুয়েতের স্থানীয় আইনে একজন নিয়োগকৃত কর্মী অন্য জায়গায় কাজ করা সম্পুর্ন অবৈধ। এইজন্য বাংলাদেশী বেশিরভাগ প্রবাসী অবৈধ হয়ে পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার হয়ে। এতে করে কুয়েতে যেমন বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং ব্যক্তিগত ভাই ওই প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
কুয়েতে ফ্রী ভিসা বলতে কিছু নেই কিন্তু অনেকেই না জেনে দালালদের কথায় বিশ্বাস করে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশীদের নতুন ভিসার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মালিক / নিয়োগকর্তা দ্বারা জমাকৃত একক খাদেম ( ২০নং) ভিসা ও ছোট প্রাইভেট সেক্টরের ভিসা (১৮ নং) ভিসা সত্যায়নের আবেদন দূতাবাসে গ্রহণ করা হবে।
আরএক্স/