কবির হাটে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলায় আহত ৪


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫


কবির হাটে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলায় আহত ৪
ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলার কবির হাট উপজেলা ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড়ে বাড়ি. ঘর  ভাংচুর ও হামলার  ঘটনা ঘটেছে, এতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। 


মোহাম্মদ  সেলিম  কবির হাট উপজেলা নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি  ৩নং  ধানসিঁডি ইউনিয়ন জগদানন্দ ৫নং ওয়ার্ড়ে  একটি বসতবাড়ি ক্রয় করেন।গত ১৩ই  ফেব্রুয়ারি  বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময়   মোহাম্মদ সেলিম তার নতুন বাড়িতে একটি মিলাদের আয়োজন করেন, পরিবার পরিজন বিভিন্ন অতিথি  মিলাদ অংশগ্রহণ করেন।


আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার প্রথম দিনেই বাজারে ইলিশ 


মিলাদ  চলাকালীন সময় একেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তারেক ও সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে মোহাম্মদ সেলিমের নতুন বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় এবং সেলিম তার স্ত্রী সন্তান সহ প্রায় চার জন কে কুপিয়ে গুরুতরে আহত করেন ।হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়  মোহাম্মদ সেলিম বাদি হয়ে কবির হাট থানায় একটি মামলা করেন। 


মোহাম্মদ সেলিম এবং তার স্ত্রী সন্তান সহ চার জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  রয়েছেন। হামলা ও ভাংচুরের বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার  একাধিক ব্যক্তি বলেন,তারেক এবং সাহাব উদ্দিন সেলিমের পরিবারের উপর যে হামলা চালিয়েছে খুবই অমানবিক এতে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান। 


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম বলেন, তারেক এবং সাহাব উদ্দিন আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন , আমি তাদেরকে চাঁদা না  দেওয়ার কারণে আমার বাড়িতে মিলাদ চলাকালীন সময় দলবদ্ধ হয়ে তারেক এবং সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এবং আমাকে আমার পরিবারে সদস্যদের কুপিয়ে গুরুতর আহত  করেন।


আমি আমার স্ত্রীর  সন্তানরা সহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় সন্ত্রাসী তারেক সাহাব উদ্দিন সহ যারা আমি এবং আমার পরিবারের  সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে   বাড়িঘর ভাঙচুর  করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির  দাবি জানায়। 


এ বিষয় তারেক এবং সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে গেলে তাদের সন্ধান  পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন: পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাউয়ার চরের ইলিশ-খিচুড়ি 


তবে বাড়ির এক মহিলা জানান ,গ্রামের বাড়িতে আমরা তো সব সময় গা হাতে কাপড় রাখতে পারি না, যেমনি পারি তেমনি চলি বাড়িতে ভিন্নি কোন পুুরুষ মানুষ ও আসে না।  আমার ছেলে সহ গাছে পানি দিতেছি এমন সময় দেখলাম আমাদের মাথার উপর   উঠতেছে, পরবর্তীতে দেখতে পেলাম  নতুন বাড়ির ছেলেদের হাতে  রিমোট তারা আমাদের বাড়ির উপরে যে ড্রোন ক্যামেরা উঠে আসতেছে তারা সেটা কে ফলো করতেছে এবং রিমোট দিয়ে কন্ট্রোল করছে। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণের বিষয় নিষেধ করলে সেলিমের ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে কথা বলে জানান তিনি। 


এই বিষয় কবির হাট থানার তদন্ত অফিসার  মোহাম্মদ মনজুর আহাম্মদ বলেন, হামলা ও ভাঙচুরে বিষয় কবির হাট থানায় একটি মামলা হয়েছে, আসামিদের  গ্রেফতারের  অভিযান চলমান  রয়েছেন বলে জানান তিনি।


আরএক্স/