কাজের কারণে রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তির যা করণীয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫


কাজের কারণে রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তির যা করণীয়
প্রতীকী ছবি

প্রাপ্ত বয়স্ক, মুসলিম সক্ষম নারী পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। এই বিধান পালনে গড়িমসির কোনো সুযোগ নেই। রোজাদারকে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে পুরস্কার দেবেন। ইসলামের অন্য কোনো বিধানের ক্ষেত্রে এমন কোনো নজির নেই, যার পুরস্কার আল্লাহ তায়াল নিজে দেবেন। 


আরও পড়ুন: অনিচ্ছায় সিগারেটের ধোঁয়া পেটে গেলে রোজা ভাঙবে?


আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে পুরস্কার লাভের এমন সুযোগ কারো হাতছাড়া করা উচিত নয়। তাই কোনো খামখেয়ালির কারণে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকা যাবে না। রোজার মাসে রোজা রাখার জন্য সবাই প্রায় নিজেদের ভারী কাজ কমিয়ে দেন। অনেকেই নিজের অধীনস্ত কর্মচারীদের কাজের বোঝাও কমিয়ে দেন। যারা রমজানে মাসে কর্মচারীর কাজ কমিয়ে দেন আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কার রেখেছেন।


রাসূলে পাক সা. বলেছেন, রমজানে যে ব্যক্তি তার অধিনস্তদের কাজ হালকা করে দিবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন। (শুআবুল ইমান; বায়হাকি)


আমাদের এ সমাজে শ্রেণী ভেদে সবারই কর্ম-পেশা ভিন্ন ভিন্ন। অনেকের কাজকর্মে শারীরিক পরিশ্রম কম হয়। মেধার পরিশ্রম বেশি হয়। আবার অনেকে মেধার পরিশ্রম কম হয়, শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়— যেমন, রিকশা চালক, কৃষি কাজ ও ইটভাটায় কাজ করা লোকজনের  শারীরিক পরিশ্রম অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এমন আরও অনেক পেশার মানুষ আছেন, যাদেরকে অন্যদে তুলনায় অনেক বেশি  শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। এ পেশার মানুষদের জন্য রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। রমজান মাসে তাদের করণীয় বিষয়ে জানতে চেয়ে এক ব প্রশ্ন করেছেন—


‘জনৈক ব্যক্তি দরিদ্র। তার একা কাজ করে ১০ জন মানুষকে খাওয়াতে হয়। যদি সে কাজ না করে, তাহলে ১০ জন মানুষকে না খেযে থাকতে হয়। এদিকে সে রোজা রেখে কাজ করতে অক্ষম। এখন তার করণীয় কী?’


এমন পরিস্থিতিতে ইসলামী ফেকাহবিদেরা বলেন, ইসলামের মৌলিক বিধানে মধ্যে অন্যতম হলো রোজা। যা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুকীম ব্যক্তির জন্য ফরজে আইন। কোনো ব্যক্তি ভারী কাজ বা প্রশ্নে উল্লেখিত পরিস্থিতির মতো কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে তার জন্য করণীয় হলো—


রমজান মাস আসার আগেই রমজানের প্রস্তুতির জন্য এমন পেশা বেছে নিতে হবে, যে পেশায় তার আর রোজা রাখতে কষ্ট না হয়। অথবা কাজের সময় পরিবর্তন করে নিতে হবে। আগে পুরো দিন কাজ করলে এখন সময় পরিবর্তন করে সকাল ও রাতে কাজ করার চেষ্টা করবেন।


আরও পড়ুন: রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন


যদি এমন কোনো বিকল্প ব্যবস্থা বের করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে কাজ শুরু করবেন এবং যতক্ষণ সম্ভব রাখার চেষ্টা করবেন। তবে যখন অক্ষম হয়ে পড়বেন তখন ভেঙে ফেলবেন। এভাবে যতগুলো রোজা ভাঙা হবে পরবর্তীতে সেগুলোর কাজা আদায় করে নিতে হবে।


(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ৫/৪৭১)