চুয়াডাঙ্গার ভৈরব নদ থেকে মিললো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাঁড়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চুয়াডাঙ্গার ভৈরব নদ থেকে মিললো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাঁড়

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরব নদ খননের সময় একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাঁড়ের সন্ধান মিলেছে। ভৈরব নদ খননের সময় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ধারণা এগুলো ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাঁড় দেখতে ভিড় জমায় কৌতুহলী লোকজন। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের পাশে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এগুলো পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, দামুড়হুদার সুবুলপুরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভৈরব নদের খননকাজ উদ্বোধন হয়। শুক্রবার সকালে কলেজের পাশে নদ খননের সময় ড্রেজার মেশিনের চালক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় দেখতে পান। তিনি ঠিকাদারের মাধ্যমে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।

কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ব্রিটিশরা ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করত। এখানে নীলকুঠি ছিল। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো দুর্ঘটনায় জাহাজটি ডুবে যেতে পারে। জাহাজে মূল্যবান সম্পদ থাকতে পারে। মাটি খনন করলে হয়তো আরও মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যেতে পারে।

কোমরপুর গ্রামের প্রবীণ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমার বাবার কাছে শুনেছি, এখানে সাহেবদের একটি জাহাজ ঝড়ে ডুবে গিয়েছিল। আমার দাদা সাহেবদের কর্মচারী ছিলেন। পরে জাহাজটি আর উদ্ধার করা যায়নি।’

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, জাহাজের মালামাল ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ ও হাড় উদ্ধার করে আপাতত ইউনিয়ন পরিষদে রাখার জন্য ইউএনও নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউএনও তাছলিমা বলেন, ‘নদ খননের সময় পাওয়া মালামালের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। এগুলো আপাতত সাবধানে ও যত্ন করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখতে বলা হয়েছে।’

এসএ/