Logo

বসন্তের আগমনে প্রকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ রুপে বৃদ্ধি পেয়েছে বনজুঁই

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৪ মার্চ, ২০২৫, ০১:২০
38Shares
বসন্তের আগমনে প্রকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ রুপে বৃদ্ধি পেয়েছে বনজুঁই
ছবি: সংগৃহীত

বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে বনজুঁই। বসন্ত এলেই গ্রামাঞ্চলে মাঠে-ঘাটে

বিজ্ঞাপন

বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে বনজুঁই। বসন্ত এলেই গ্রামাঞ্চলে মাঠে-ঘাটে, পথে প্রান্তরে প্রায়ই দেখা যায় থোকায় থোকায় ফুটে এসব ফুল। ফুলগুলো সহজেই নজর কেড়ে নিচ্ছে স্থানীয়দের। ফুল দিনে ফোটে এবং রাতে সৌরভ ছড়ায়। এটি বনজ ফুল হলেও সৌন্দর্যের কমতি নেই। দেখে মনেই হবে না এটি অবহেলিত কোনো ফুল। অনেকের কাছে ‘বনজুঁই’ ভাটফুল, ভাটিফুল, ঘেটুফুল বা ঘণ্টাকর্ণ নামেও পরিচিত। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চায়ের রাজ্য ক্ষেত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আনাচে কানাচে সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে নজর কাড়ছে ফুলটি।

বিজ্ঞাপন

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, বনজুইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্লেরোডেন-ড্রাম-ইনার-মি’। ইনফরচুনাটাম প্রজাতির ফুল এটি। প্রায় ৪০০ প্রজাতির বনজুই পাওয়া যায় যাদের আদিনিবাস এশিয়া মহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায়। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া, সাধারণত ২-৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। পাতা ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ি সাদা, তাতে বেগুনি মিশেল থাকে। বনজুই সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও নানা গুণে গুণান্বিত। ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকা-মাকড়ের কামড়ে খুবই উপকারী।

বিজ্ঞাপন

সড়জমিনে ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকৃতির এ ফুলটির পুংকেশর, পাপড়ি, পাতা ও কাণ্ড নিখুঁত কারুকার্যে সাজানো। মাঝের পুংকেশর ফুলটির সৌন্দর্য যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়ার পর লালচে বৃতির মাঝখানে সবুজ ও বেগুনি বীজ দেখতে একেবারে নাকফুলের মতো। মনে হয় যেন কারুকাজ খচিত লালচে পাথরের মাঝে সবুজ অথবা গাঢ় বেগুনি চকচকে এক হীরার খণ্ড বসিয়ে রেখেছে। এ ফুলের মনমাতানো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে যে কেউ। এর মিষ্টি গন্ধ মাতাল করে তোলে ফুলপ্রেমীদের মন। এছাড়া এর মনমুগ্ধকর সৌরভে প্রজাপতি, মৌমাছি, পিপড়াসহ নানা প্রজাতির কীট-পতঙ্গের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। এরা ফুলের সুগন্ধ, সৌরভে ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসে। 

কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা পারভেজ আহমদ ও জাহেদ আহমেদ বলেন, একটা সময় ‘ভাটফুল, ভাটিফুল’ ফুল অনেক দেখা যেত। ক্ষেত-খামারের

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কিনারা, বাড়ির পাশে, গ্রামের রাস্তার ধারে, পাহাড়ের পাদদেশে, রেললাইনের ধারে ফোটে এ ফুল। ফুলের সুবাস অনেক মিষ্টি। দেখতেও অনেক সুন্দর। এই ফুল গাছকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় ‘ভাটফুল, ভাটিফুল’ বলে।

বিজ্ঞাপন

এসডি/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD