ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় টমেটো চাষে ভাগ্যবদল কৃষকের


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫


ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় টমেটো চাষে ভাগ্যবদল কৃষকের
ছবি: প্রতিনিধি

সবুজ পাতার নিচে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে লাল টমেটো। অধিক ফলনের ভারে হেলে পড়েছে গাছ। হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার রানীখার এলাকার তিনজন চাষি স্বপন শেখ, রহিম মিয়া ও মোহাম্মদ আমিন ।


আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ব্লাড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ


জমি থেকে অনেক টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তারা। আখাউড়া উপজেলার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে তাদের এ প্রজেক্ট এ টমেটোর পাশাপাশি চাষ করেছেন ফুলকপি,লাউ, আলু,মরিচ,শষা, করলাসহ অনেক সবজি। তাদের এ ক্ষেতে পরিচর্যা ও টমেটো সংগ্রহে কাজ করেন  ২৫থেকে ৩০ জন নারী ও পুরষ শ্রমিক। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতে বাশের বাতায় বড় বড় লাল সবুজ টমেটো ঝুলছে। টমেটোর ওজনে হেলে পড়েছে বাশের বাতা। মাটিতে নুয়ে পড়েছে টমেটো। প্রতি ঝোপায় ১০থেকে ১২টি টমেটো ঝুলছে। জমি থেকে পরিপক্ক লাল লাল টমেটো গাছ থেকে সংগ্রহে ব্যস্ত মালিক ও শ্রমিকরা। 


চাষিরা জানান, তাদের তিন জনের পাশাপাশি এই প্রজেক্ট এ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ বিঘা জমি। গত ৩-৪ বছর ধরে হাইব্রিড জাতের টমেটো চারা রোপণ করে আসছেন তারা। রোপণের পর সঠিক পরিচর্যা ও যত্নে দুই মাসের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছে প্রচুর টমেটোর ফলন হয়েছে। প্রতি গাছে ৫ থেকে ৬ কেজি টমেটো ধরেছে। টমেটোর ভারে নুয়ে  পড়েছে বাশের বাতা। এক বিঘা জমিতে উন্নত জাতের টমেটো চাষে তাদের খরচ হয়েছে ২ থেকে তিন লক্ষ টাকা আবার অন্য কিছু জাতের টমেটো চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা । 


প্রথম দিকে প্রতি মণ টমেটো পাইকারি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমানে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রথম ধাপে বিক্রি শেষ করে দ্বিতীয় ধাপে চলছে টমেটো সংগ্রহ ও বিক্রি । আশা করছেন, জমির বাকি টমেটো বাজার দর থাকলে প্রতি বিঘার টমেটো বিক্রি হবে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আর অন্য আরেকটি জাতের টমেটো বিক্রি হবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। তারা বলছেন ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক থাকলে খরচ থেকে বিক্রি হবে প্রায় দিগুণ। 


আরও পড়ুন: আখাউড়ায় উদঘাটন হলো সেই নারীকে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য


ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা দৈনিক জনবাণী কে বলেন, হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষ একটি লাভজনক ফসল। সঠিক পরিচর্চা করলে অধিক ফলন হয়ে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা টমেটোর দামও ভালো পাচ্ছেন। এতে করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। অন্য কৃষকরা টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমাদের কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠে থেকে কাজ করছেন। 


এসডি/