কাউনিয়ায় প্রকৃতি রাঙাচ্ছে বসন্তেরকোকিলের ডাক আর শিমুল ফুলের রং


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:১০ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৫


কাউনিয়ায় প্রকৃতি রাঙাচ্ছে বসন্তেরকোকিলের ডাক আর শিমুল ফুলের রং
শিমুল ফুল

কাউনিয়ায় ঋতুরাজ বসন্তের শুরুলগ্নেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটছে শিমুল ফুল। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকদের লেখার খোরাক যোগায় রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। 


আরও পড়ুন: বৈষম্যর শিকার উন্নয়ন বঞ্চিত কাউনিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ


সোমবার (৩ মার্চ) বিকালে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ বিজলের ঘুন্টি রেল লাইনের সামনের রংপুর-কুড়িগ্রাম মহা সড়কের পাশে মিললো কয়েকটি ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছ। ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর হরহামেশাই চোখে পড়ে না রক্তলাল শিমুল গাছ। কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে তা।


গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।


গ্রামে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।


বর্তমানে নানা কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে তোলে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার তেরি হয়।


গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে।


আরও পড়ুন: ভারতে বিশ্বনবী (সা.)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে কাউনিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত


কিন্তু কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাউনিয়ায় আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছ। প্রতিনিয়ত বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা শিমুল গাছ।


এসডি/