বৃষ্টির পানি অসতর্কতাবশত মুখে গেলে রোজা ভাঙবে?


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৫২ অপরাহ্ন, ১৭ই মার্চ ২০২৫


বৃষ্টির পানি অসতর্কতাবশত মুখে গেলে রোজা ভাঙবে?
প্রতীকী ছবি

ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে কখনো গ্রীস্ম, কখনো শীত আবার কখনো বর্ষাকালে রমজান মাস আসে আমাদের মাঝে আর এ মাস প্রতিটি মুসলিমের জন্য সিয়াম সাধনার মাস। বর্ষাকালে রোজা রাখলে যদি কোনোভাবের বৃষ্টির পানি মুখের ভেতরে চলে যায় তাহলে কী হবে? তাহলে কি রোজা ভেঙে যাবে নাকি হয়ে যাবে?


আরও পড়ুন: এবার জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫


এ বিষয়ে ফেকাহশাস্ত্রবিদরা বলেন,  বৃষ্টির পানি যদি কোনো রোজাদারের গালায় চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এসব ক্ষেত্রে রোজাটির কাজা করে নিতে হবে। তবে এর কাফফারা দিতে হবে না। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২৫৪)


জেনেনিন রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ 

১. ইচ্ছা করে বমি করা। ২. মুখ ভরে বমি করা। ৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা। ৪. ইসলাম ত্যাগ করা। ৫. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব। ৬. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করানো। ৭. রোজাদারকে জোর করে কিছু খাওয়ানো। 


৮. গ্লুকোজ, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন নেওয়া। ৯. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে আরও কিছু খাওয়া। ১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা।


 ১১. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানো। ১২. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেলা।১৩. দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খাওয়া। ১৪. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলেগেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।


১৫. হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করা। ১৬. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করা।  ১৮. শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের হলে।


আরও পড়ুন: যে আয়াত নাজিলের মাধ্যমে রোজা ফরজ করা হয়েছে


এসব কাজ বাদেও এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোজা ভঙ্গ হবে না, তবে রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না, বরং রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজ, পাপাচার, সুদ-ঘুষ, হারাম পানাহার, অন্যের হক নষ্ট করা, ওজনে কম দেওয়া সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।


এসডি/