যে আয়াত নাজিলের মাধ্যমে রোজা ফরজ করা হয়েছে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪১ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫


যে আয়াত নাজিলের মাধ্যমে রোজা ফরজ করা হয়েছে
সংগৃহীত ছবি

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা এটি ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। ইসলামের বিধান সাধারণত মুসলামানের ওপর করা হয়েছে তার  মধ্যে অন্যতম হলো রমজান মাসের ৩০ দিনের রোজা। অন্যটি হলো নামাজ। 


আরও পড়ুন: কাজের কারণে রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তির যা করণীয়


মহান আল্লাহ তায়ালা এই ২ টি বিধান ধনী-গরিব সব শ্রেণীর মানুষের জন্য ফরজ করেছেন। এর বাইরে হজ্জ ও জাকাত সবার জন্য ফরজ নয়। নির্ধারিত সময় এবং নির্ধারিত উপকরণ পাওয়া গেলে তা ফরজ। 


অর্থাৎ, হজ্জ করা ফরজ হয় জিলহজ মাসে, কারো কাছে ইসলামের বিধান অনুযায়ি হজ্জ করার মতো সম্পদ থাকলে এবং হজ্জ করার উপযগি হলে তার হজ্জ উপর করা ফরজ । জাকাত ফরজ হয় এক বছরের বেশি নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে। তবে রোজা সুস্থ মস্তিস্ক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ সবার ওপর ফরজ।


ইসলামের সূচনা থেকেই রোজার বিধান ফরজ করা হয়নি মুসলমানদের ওপর। প্রথম দিকে রোজা নফল ইবাদত হিসেবে পালন করা হতো। এরপর দ্বিতীয় হিজরিতে কুরআনের একটি আয়াত নাজিলের মাধ্যমে মুসলমানদের ওপর হজ্জ ফরজ করা হয়। সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে রোজা ফরজের বিধান নাজিল করা হয়েছে।


এর আগে মদিনায় হিজরতের পরে মুসলমানরা দেখলেন ইহুদিরা আশুরায় রোজা পালন। এরপর মুসলিমগণ তাদের চেয়েও একদিন বেশি রোজা রাখা শুরু করে। তবে এসবই ছিলো ঐচ্ছিক, রাখার জন্য বাধ্য-বাধকতা ছিলো না। 


এরপর হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষে অর্থাৎ নবুয়তের ১৫তম বছরে এসে রোজার বিধান অবতীর্ণ হয়। 


یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ۙ ١٨٣ اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ وَعَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَہٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ ؕ فَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّہٗ ؕ وَاَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ١٨٤ شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَمَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَلِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ١٨٥ 


হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহ ভীরুতা অবলম্বন করতে পারো।


আর যারা রোজা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোজা রাখতে চায় না (যারা রোজা রাখতে অক্ষম), তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। পরন্তু যে ব্যক্তি খুশির সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তোমরা রোজা রাখ, তাহলে তা তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণের; যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।


রমজান মাস। এ মাস পেলেই মুমিন মুসলমানের জন্য রোজা রাখা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে।


আরও পড়ুন: শিশুদেরকে রোজা রাখার জন্য আগ্রহী করবেন যেভাবে


আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা সহজ তাই চান এবং যা তোমাদের জন্যে কষ্টকর তা চান না। এ জন্য যে তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩-১৮৫)



এসডি/