আরাকান আর্মির ইউনিফর্ম ও নগদ টাকাসহ আটক ৩
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৫ অপরাহ্ন, ২৫শে মার্চ ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানের পর কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির তৎপরতা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে র্যাব। কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটপাড়া থেকে আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া পোষাক ও নগদ টাকাসহ’ তিনজনকে আটক করার র্যাব প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারি পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে পৌঁছেছেন
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে এমন বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান তিনি।
আটককৃতরা হল, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চৌচুলামুরা এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী শফিকা আক্তার (৩৭), উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে মিনুয়ারা বেগম (৩৩) এবং একই ইউনিয়নের পূর্ব ফাঁড়িরবিল বটতলী এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে ইকবাল হাসান (১৪)।
আ. ম. ফারুক বলেন, দেশে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। রোববার বিকালের শেষের দিকে র্যাব খবর পায় কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটপাড়ায় কতিপয় লোকজন আরাকান আর্মির জন্য তৈরী কিছু সংখ্যক ইউনিফর্মের চালান রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সরবরাহের জন্য অবস্থান করছে। এ খবরে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্দেহজনক ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এতে ধাওয়া দিয়ে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে আটকদের হেফাজতে থাকা তিনটি বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাগুলো খুলে পাওয়া যায় আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া ইউনিফর্ম। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান’ এক শহীদ ও আহত ৪৭ জনকে সহায়তা প্রদান
র্যাবের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, “ আটকরা জানিয়েছে, উদ্ধার করা ইউনিফর্মগুলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছানোর জন্য মজুদ করেছিল। জনৈক নুর মোহাম্মদ ইউনিফর্মগুলো তৈরী করে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিল। “
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান, সহকারি পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।
এসডি/