রাজধানীতে ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় থাকবে ১৫ হাজার পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ অপরাহ্ন, ৩০শে মার্চ ২০২৫

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছে, ঢাকার সব ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও তাদের সহায়তায় থাকবে। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে। এবারে রাজধানীতে ১১১টি ঈদগাহ ও ১ হাজার ৫৭৭টি মসজিদে মোট ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাজ্জাত আলী বলেন, আমরা দুই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিই। একটা হলো ওভার এবং আরেকটা কভার। সবকিছুতো আমরা ডিসক্লোজ করি না। অনেককিছু নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখি।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় নন ব্যান্ড বাসের ভাড়াতে অনিয়মের অভিযোগ
তিনি বলেন, আমরা সব সময় সতর্ক আছি। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, নিষিদ্ধঘোষিত যেসব দল আছে, তারা যেন কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, এ ব্যাপারে আমরা সর্বদা সজাগ আছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে কোনো ধরণের ঝুঁকি নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা রমজান মাসে নগরবাসী অনেক ভালো ছিলাম বলেই আমি মনে করি। আজকে শেষ দিন রমজানের, ইনশাআল্লাহ আজকের দিনটিও আমরা ভালোভাবে পার করতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর বায়তুল মোকাররমে ৫টি ঈদ জামাতের মধ্যে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
সব স্থানের ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা বিধানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পুরো জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভি আওতাভুক্ত থাকবে। প্রায় ১০০ সিসিটিভি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে যা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন, খুশি যাত্রীরা
তিনি আরও বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের প্রধান তিনটি গেইটে ব্যারিকেড থাকবে, যেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। মৎস্যভবন, প্রেস ক্লাব ও শিক্ষাভবন এবং ঈদগাহ ময়দানের চারপাশে বহির্বেষ্টনী দিয়ে তল্লাশির ব্যাবস্থা থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড সুইপিং করবে। সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিটিসি সদস্যরাও থাকবেন। ওয়াচটাওয়ার থেকে মনিটরিংসহ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশিকাজে সহায়তার অনুরোধ করা হলো। কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ রইল। সবাইকে জামাত শেষে তাড়াহুড়া না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ পুলিশ সদস্যকে জানাতে কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের পরামর্শ রইলো।
এমএল/