চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১২ অপরাহ্ন, ১১ই এপ্রিল ২০২৫


চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পেছনে না দৌড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।


শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।


আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আগামী ১৬ এপ্রিল


পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হচ্ছে। এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপরে ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইবার ৬৫ মার্কের ওপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কি না। অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে রিটেনে যত ভালো করবে তার চাকরি পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি থাকবে।


তিনি লেখেন, গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইবা পরিক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভাতে মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫’র মধ্যে ৭-৮ এমনিতেই পাওয়া সম্ভব। সেখানে ভাইভাতে সুপারিশ করে ২-৪ মার্ক বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই যদি আপনি রিটেনে ভালো করতে না পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইবার তিনগুণ মার্কস রয়েছে তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নিন।


‘এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইবার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছেন, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো প্রকার সুপারিশকে গ্রহণ করা হবে না।’


আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে : সামসুজ্জামান দুদু


সারজিস আলম আরও লেখেন, কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে। অর্ধ-লাখের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা’র বিপরীতে ‘সুপারিশ’ এই অভ্যুত্থানের শহীদের রক্তের সাথে প্রতারণার নামান্তর করাই হবে।


তাই দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোনো প্রকার সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে অন্য কোনো দলের কোনো নেতার কাছেও যাবেন না। বরং আমরা চাইবো বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমরা সেখানে সহযোগিতা করব, মেধার জয় নিশ্চিত করব।


এমএল/