পাগলা মসজিদে: চলছে গণনা, তিন ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা


Janobani

আজাহারুল ইসলাম সুজন

প্রকাশ: ০৩:০২ অপরাহ্ন, ১২ই এপ্রিল ২০২৫


পাগলা মসজিদে: চলছে গণনা, তিন ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা
পাগলা মসজিদে টাকার গণনা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। এখন পর্যন্ত গণনায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। চলছে এখনো টাকা গণনার কাজ।


আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদে চিঠি


শনিবার (১২ এপ্রিল) রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারিসী জানান ১২টা পর্যন্ত গণনা শেষে এ টাকা পাওয়া গেছে। 


তিনি আরও জানান, সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনা শুরু করা হয়। সেই হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এই টাকাগুলো নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হচ্ছে।


পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবার আমরা ৪ মাস ১২ দিন পর দানবাক্স খুলেছি। এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।


এর আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনা শেষে তখন রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেছিলেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি অলংকারও।


মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও ২টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। সেগুলো খুলে ২৮টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখনো চলছে টাকা গণনার কাজ।


মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।


আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা


মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


এসডি/