বারবার বাঁধ ভেঙে সোনার ফসলের ক্ষতি, নেতা-কর্মকর্তা আর বোর্ডকে দায়ি করছেন কৃষকেরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বারবার বাঁধ ভেঙে সোনার ফসলের ক্ষতি, নেতা-কর্মকর্তা আর বোর্ডকে দায়ি করছেন কৃষকেরা

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসি গঠনেই ছিল টাকার খেলা। সময়মতো কাজ শুরু না হওয়া, কাজ দেয়ার পর অর্থ বরাদ্দ না দেয়া, যেসব কাজ হয়েছে তা সঠিক তদারকি না করাসহ অভিযোগ উঠেছে নানা অনিয়মের। আর এসব অনিয়মের হোতা হিসেবে রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকেই দায়ী করছেন কৃষক ও স্থানীয়রা।

বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়মের কারণে ঢলের পানিতে ডুবেছে ধর্মপাশার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসল। বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ উপমন্ত্রী যখন হাওরে যান তখন এমন অভিযোগ তুলে ধরেন এক কৃষক। বলছিলেন কীভাবে কাজ দেয়া হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসিগুলোকে। অভিযোগ শুনেই স্থানীয় এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন সেই কৃষকের ওপর।

অন্যান্য হাওরেও একই চিত্র। পিআইসি গঠনে অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ইউএনওদের বিরুদ্ধে। হাওরগুলোতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু আর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পিআইসি গঠনে দেন-দরবার করতেই অনেক হাওরে কাজ শুরু হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। তবে কাগজে কলমে দেয়া থাকে পেছনের তারিখ। কৃষকদের এসব অভিযোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়ও। জানালেন, এসব অনিয়মের জন্যই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ভেসে যাচ্ছে, ডুবে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুঁজে বের করতে চান দোষীদের। সব অভিযোগে আমলে নিয়ে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে গত কয়েক দিনে সুনামগঞ্জের ১০টি হাওরের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

এসএ/