মায়ের লাশ আটকে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল চিকিৎসকরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মায়ের লাশ আটকে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল চিকিৎসকরা

মায়ের লাশ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের পাবলা কারিকর পাড়ার পিয়ারুন্নেছা (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ইন্টার্ণ চিকিৎসক কামরুল হাসানের সাথে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে মৃতের স্বজনদের। এ ঘটনায় মৃতের  দুই ছেলেকে পুলিশে দেন চিকিৎসকরা।

রোববার সকালে মৃতের স্বামি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুকে ব্যাথা ও পায়খানা-প্রসাব না হওয়ায় শুক্রবার রাতে মেডিকেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১১-১২ নং ওয়ার্ডে তার স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়। 

তিনি বলনে, শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর হলে আমার ছেলে ডাক্তার ডাকতে যায় কিন্তু কোন ডাক্তার আসেনি। তারা রোগীকে নিয়ে আসতে বলে। 

এতে ছেলে অপারগা প্রকাশ করে জানায়, রোগীকে কি করে আনবো! মা তো মোটা মানুষ, আনা সম্ভব নয়। ডাক্তার তখন কাগজপত্র আনতে বলেন।

পিয়ারুন্নেছার স্বামী আরও বলেন, কাগজপত্র দেখে ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন সব তো ঠিক আছে। এরপর রোগী দেখতে ডাক্তাররা কেউ আসে নি। এরপর রাতে ছটফট করতে করতে আমার স্ত্রী মারা যায়। 

এরপর, মায়ের এমন মৃত্যুতে আমার ছেলে মো. মোস্তাকিম গিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চান তারা কেন দেখতে আসলেন না। এ নিয়ে আমার ছেলের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় চিকিৎসকের। এসময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আমার গায়েও আঘাত করেন। অপর দুই ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশে দিয়ে দেন। তারা বর্তমানে সোনাডাঙ্গা থানায় আটক রয়েছেন। আর আমার স্ত্রীর লাশও হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। 

স্থানীয় কাউন্সিলর শামছুদ্দিন আহমাদ প্রিন্স ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আসলেও তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেলা  ১২ টা পর্যন্ত লাশ আটকে রেখেছিল।

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, মানুষ মারা গেলে একটি প্রসিকিউট আছে। সে অনুযায়ী মরদেহ ছাড়তে হয়। লাশ আটকানোর তো কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে।

এসএ/