কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের আমরন অনশণ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:২৫ অপরাহ্ন, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫


কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের আমরন অনশণ
শিক্ষার্থীদের আমরন অনশণ


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরন অনশন বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাত শিক্ষার্থী।


আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা


বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের ফটকের সামনে অনশণে বসেন তারা ।


অনশনকারী সাত শিক্ষার্থী হলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার, সমন্বয়ক ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব খান, সমাজকর্ম বিভাগের আরিফ আলভি, গণিত বিভাগের মৌসি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন।


এসময় ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘স্ট্যান্ড উইথ কুয়েট, স্টেপ ডাউন মাসুদ’ সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।


অনশনকারী সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ৫ আগস্টের পরে সকল ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের আকাঙ্খা ছিলো আমাদের। কিন্তু এখন নব্য ফ্যাসিস্টের আবির্ভাব হচ্ছে। এমন সর্বপ্রথম ফ্যাসিস্ট হলো কুয়েটের ভিসি। শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলাকে বৈধতা দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।


তিনি আরও বলেন, উনি (উপাচার্য) বলছেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী নাকি তাঁর পদত্যাগ চাচ্ছেন না। অথচ সারাদেশের শিক্ষার্থীরাই পদত্যাগ চাচ্ছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ একযোগে অনশনে বসেছেন। কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশন করছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ এখন পর্যন্ত সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। ঘটনাটি এখন আর কুয়েটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন একটা রাষ্ট্রীয় সমস্যাই পরিণত হয়েছে। কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।


আরও পড়ুন: রাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন


ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব খান বলেন, আমাদের দাবি একটাই তা হলো কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ দেখতে চাইনা। একজন উপাচার্যের কাজ হলো লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু কুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বাইরে গিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে সারা বাংলাদেশের দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ কিন্তু কোন অপশক্তির বলে সে পদত্যাগ করছেনা তা আমাদের জানা নেই। 


এসডি/