আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজি-পেঁয়াজ ও ডিমের বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৫

অস্থির হয়ে উঠেছে রাজধানীর সবজির বাজার। শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর এখন নেই। বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামই ৭০ টাকার ওপরে। পাশাপাশি বাড়তির তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার ও মালিবাগ বাজার সরেজমিনে ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ভেন্ডি, পটোল, শালগম, ঝিঙা, চিচিঙ্গার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। করলা ও বেগুন কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে বরবটি ও কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। শজিনার ডাটা সব সময় কিছুটা বেশি থাকে। এর কেজি দেখা গেছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দাম বেড়েছে শসারও। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। আলুর দর এখনও কম। প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। সবজির দাম বাড়লেও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে বলে জানা গেছে। তখন বেশির ভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে ছিল।
আরও পড়ুন: চাল, পেঁয়াজ ও সবজির বাজার চড়া, কমেছে মুরগির দাম
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতকালীন সবজির মৌসুম অনেক আগেই শেষ হয়ে এসেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজি আসা শুরু হয়েছে। এগুলোর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক একটু বেশি। দামও শুরুর দিকে একটু বেশি থাকে। তাদের ভাষ্য, এবার শীত মৌসুমে সবজির দাম অনেক কম ছিল। এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে এখন তারা কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, দর কমে যাওয়ায় এ বছর কৃষকের অনেক লোকসান হয়েছে। এখন যেসব সবজি আসছে, সেগুলোর উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। সে জন্য কৃষক দাম একটু বেশিই নিচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, রোজায় সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই বাজার চড়া। তাদের দাবি দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে এক সপ্তাহ ধরে চড়া পেঁয়াজের বাজার। এ সময় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও বেশি। এ ছাড়া হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
আরও পড়ুন: আবারও সবজির বাজার চড়া, মাছের বাজারেও আগুন
রোজার শুরু থেকে কমতে শুরু করে ডিমের দাম। এক পর্যায়ে ফার্মের ডিমের ডজন ১১৫ টাকায় নেমে এসেছিল। তবে তিন-চার দিন ধরে বাড়ছে। বর্তমানে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম (বাদামি রং) বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।
গত সপ্তাহে প্রতি ডজন কেনা গেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। রোজার শেষদিকে এসে মুরগির দাম বেড়েছিল। তবে এখন অনেকটা কম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা।
ভোজ্যতেলের বাজারে বোতলজাত তেলের অভাব এখনও আছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দুই-তিন মাস ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ ঘাটতি নিয়েই চলছে বাজার।
এমএল/