পটিয়া বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনছুর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি সাধারণ মানুষকে হয়রানি পরিষদের টাকা আত্মসাত সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রত্যয়ন পত্র, ওয়ারিশ সনদ, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে হয়রানির পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ফ্রি এর অতিরিক্ত টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। 

গত ৫ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর পরিষদের বিভিন্ন খাত থেকে আদায়কৃত টাকা সে আত্মসাৎ। বিশেষ করে ওয়ারিশ সনদ, জন্ম নিবন্ধন, সংশোধন, চৌকিদারী টেক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, প্রত্যয়ন পত্র ফি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি রায়ান দানা খাত থেকে আনায়কৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বা নামমাত্র সামান্য পরিমাণ জমা দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা সচিব মনছুর আলম আত্মসাৎ করছে। 

বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিমাসে বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জলাধায়ণ থেকে আদায় করছে। সম্প্রতি ভোটার হালনাগাদ এয় সময় এর পরিমান আরো অনেক বেশি হয়েছে। এছাড়া ইউপির পুরাতন ভবনের লোহা রডসহ বিপুল পরিমান জিনিস রাতের আধারে চুরি করে বিক্রি করে দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা সচিব আত্মসাৎ করেছেন। সচিব মনছুর আলমের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ করে গণস্বাক্ষর করেন এতে পেরলা এলাকার রবিউল হোসেন, আবদুল মান্নান। 

এবিবষয়ে অভিযোগকারী মধ্যে একজন রবিউল হোসেন জানান, সচিব মনছুর আলম একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ উনার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষকে হয়রানি জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা নেয়া, পরিষদে বখাতে লোকজন নিয়ে পরিষদে জুয়ার বসিয়ে টাকা আদায় করে। তাকে অপসারণ করার এলাকাবাসীর গণদাবি। অভিযোগের বিষয়ে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনছুর আলম জানান, স্থানীয় কিছু লোকজন আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে হয়তো অভিযোগ করেছে। 

অভিযোগ সঠিক হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। তবে এখনো পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোন জায়গা থেকে আমার কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়নি। কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে বিয়ষটি বুঝতে পেরেছে, এ পর্যন্ত অনেক সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছে কেউ নিউজ করেনি।

আরএক্স/