ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে তরুণ উদ্যোক্তার সাফল্য


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৩ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৫


ইউটিউব দেখে  মাশরুম চাষে তরুণ উদ্যোক্তার সাফল্য
মাশরুম ছবি: প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইন্দ্রজিত কুমার মাশরুম চাষে সাফল্য পেয়েছেন। উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজার সংলগ্ন গ্রামের ইন্দ্রজিত অভাবের সংসারে হাল ধরতে এই চাষকে বেছে নেন। চাকরির পেছনে না ছোটা এ তরুণ বছর ঘুরতেই সফলতার দেখা পান। তিনি মাশরুম বিক্রি করে বছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা আয় করেন। তার এই মাশরুম চাষ এলাকাজুড়ে সাড়া পড়েছে।


আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে এবার বাসের ছাঁদ খুলে ঝুলছিলো গাছে


তরুণ এ উদ্যোক্তা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার প্রেমচাদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। জানা গেছে, ২০২১ সালে ওই এলাকায় মাশরুমের চাষ শুরু করেন ইন্দ্রজিত কুমার। এরপর ২০২২ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় তার প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় দ্রুতই তার ব্যবসা এগিয়ে যেতে থাকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার কেজি মাশরুম বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। আর এ ১০ লাখ টাকা আয় করতে তার খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকার মতো।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেশবন্ধু মাশরুম খামার নামে ১০ শতক কৃষি জমিতে ১১০ ফিট লম্বা ৪০ ফিট চওড়া একটি ঘর নির্মাণ করে মাশরুম চাষ করছেন। তার খামারে প্রতিদিন ১০-১২ জন মেয়ে কাজ করছে। তারা সবাই মাদার, কাঠের গুড়ার স্পন, খড়ের সিলিন্ডার প্যাকেট তৈরির কাজে ব্যস্ত। ঘরের মধ্যে টানিয়েছেন শক্ত কটের সুতা দিয়ে বানানো শিকা। সেখানে স্তরে স্তরে ঝুলে আছে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো মাশরুম বীজ প্যাকেট বা স্পন প্যাকেট। ওয়েস্টার, মিল্কী ও গ্যানোডার্মা ৩ জাতের মাশরুম দেখা যায়। ওয়েস্টার মাশরুম প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, মিল্কী মাশরুম ৩৫০-৪৫০ টাকা ও গ্যানোডার্মা মাশরুম ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বাজারে। বর্তমানে তাদের খামারে ৫ হাজার সিলিন্ডার প্যাকেট রয়েছে।


আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে তালাকের মহামারি, প্রতিদিন ভাঙছে ৮ বিয়ে


উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিত কুমার জানান, প্রথমে ইউটিউবে কিভাবে মাশরুম চাষ করা হয় তা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। প্রথমে মাগুরা ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে ৪ দিনের ট্রেনিং ও ২য় পর্যায়ে সাভার জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট থেকে ৩ দিনের ট্রেনিং নিয়ে কাজ শুরু করি। সরকারি সহায়তা কিংবা স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে ভালো হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৩০ টন মাশরুম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন তিনি।


শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিতকে আমরা আরও ভালমতো প্রশিক্ষণ দেবো। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু উদ্যোক্তাও তৈরি করেছেন। তাদেরকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।


এসডি/