নগর ভবনে ঝুলছে তালা, কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৫২ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৫


নগর ভবনে ঝুলছে তালা, কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নগর ভবনের মূল ফটকসহ সব নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলাই কোনো কর্মচাঞ্চল্য নেই।


শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, মূল ফটকে তালা।


এ সময় পুরো নগর ভবন ফাঁকা দেখা গেছে। মূল ফটকে পাহারা দিচ্ছেন কয়েকজন নগরভবন নিরাপত্তাকর্মী। তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহদাতবার্ষিকীর কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকায় দুইদিন ধরে আন্দোলনকারীরা উপস্থিত হচ্ছেন না। তবে আন্দোলন চলমান রয়েছে।


আরও পড়ুন: সড়কে ইশরাক সমর্থকদের উল্লাস, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি


গত ১৪ মে থেকে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ববুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে টানা অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ঢাকাবাসীসহ ইশরাকের সমর্থকরা। একই দাবিতে গত সপ্তাহে দুই দিন যমুনার সামনেও অবস্থান কর্মসুচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।


গত ২৭ মার্চ ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকা ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ইশরাক হোসেনকে সেই গেজেট বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আপিল বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ না পড়ানো নিয়ে করা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ( ২৯ মে) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইশরাক হোসেন সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই


এ সময় তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অবিলম্বে উচ্চ আদালতের রায় মেনে নিয়ে শপথ আয়োজনের ব্যবস্থা করুন। আর এটি আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকারে) প্রতি শেষবারের মতো আহ্বান।


নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে। ফটকে তালা থাকায় নগর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। বন্ধ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধসহ সব নাগরিক সেবা। ফলে সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ।


ঈদ উপলক্ষে সরকারের ঘোষণানুযায়ী শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা ভেবে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে নগর ভবনে আসেন বৃদ্ধ করিম মুন্সী। এসে দেখেন সব সেবা বন্ধ। মূল ফটকে ঝুলছে তালা।  


ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, আমার একটা অনুদানের টাকা দেওয়ার কথা। এ আন্দোলনের কারণে সব বন্ধ। বয়স্ক মানুষ টাকাটা পেলে চিকিৎসা করাতে পারবো। জানি না বেঁচে থাকতে এ টাকা পাবো কি না। আন্দোলনের করুক পাশাপাশি নগর সেবাটা চালু রাখলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশ উপকার হতো।


এমএল/