স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ অপরাহ্ন, ১৮ই জুন ২০২৫

স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, যে বিচার বিভাগ জাতীয় অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দিনব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার পর এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন হোক। আমরা এমন একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য সংগ্রাম করছি, যে বিচার বিভাগ সংসদের, যে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের একটি রক্ষাকবচ হিসেবে, পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে, জাতীয় অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে বিএনপি চেয়ারপারসন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন হোক, নিরপেক্ষ হোক। দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করুক, যার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্ত ভিত্তি পাবে। সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে অন্তত সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সব নাগরিকের একটি বিশ্বাস থাকবে, যেটি আগে আমরা পাইনি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এককভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা একটি বাধ্যবাধকতায় আসতে চাই। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যে, কী কী ক্রাইটেরিয়ার ওপর ভিত্তি করে তিনি প্রধান বিচারপতি নির্বাচন করবেন। দুইটি রাজনৈতিক দল বাদে প্রায় সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বিচারকদের নিয়োগের যে প্রক্রিয়া, সে বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন না। সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি প্রধান বিচারপতি ও বিচারক নিয়োগ শুরু হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের আমলে যেমন বিচারক নিয়োগের পদ্ধতিকে দূষিত করা হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে পারবো।
আরও পড়ুন: যারা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তারা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থাকতে চায়: নাহিদ
আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, আমাদের দলের এবং আরও অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব হচ্ছে সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০টিতে বৃদ্ধি করা। বিদ্যমান সংবিধানে যে প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন ও মনোনয়ন হয়, সে প্রক্রিয়ায় সেটি হবে এবং বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, একশ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ধারণার সঙ্গে আমরা একমত। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের ধারণার সঙ্গে একমত, তবে কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। ভবিষ্যতে কোন পদ্ধতিতে এ আসনগুলোতে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে ঐকমত্য হলে তা জুলাই সনদে স্থান পাবে। কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আরও আলোচনা হবে এবং এ ক্ষেত্রে একমত হতে গেলে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে।
এমএল/