চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪১ অপরাহ্ন, ২৫শে জুন ২০২৫


চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
ছবি: প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলার দুই আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে উভয় আসামীকে একলাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 


বুধবার  (২৫ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষনা করেন।


আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির কবলে বাবা ছেলে, কুপিয়ে জখম করে নগদ টাকা লুট


দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর বানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত ফকির চান মন্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক (৪৫) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ঈদগাহ্ পাড়ার ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজমুল হক (২৯)।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুন জীবননগরের মিনাজপুর বানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার এক শিশু কন্যাকে ডালিম দেয়ার কথা বলে বাগানের ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদি হয়ে আব্দুল খালেককে আসামী করে ঘটনার পরদিন জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে জীবননগর থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে একমাত্র আসামী আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।


অপরদিকে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার বাড়াদি গ্রামের মীরপাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্যও হুমকি দিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরে ওই কিশোরী চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর সে বছরের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামী নাজমুল হককে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে একমাত্র আসামী নাজমুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।


আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ


নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. শাহজাহান মুকুল জানান, পৃথক দুটি রায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ঘটনায় দুটি রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে তারা।


এসডি/