কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, লাশের শরীর তল্লাশি করল ডাকাত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৫

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান কালিতলা-দুর্গাপুর মাঠের নির্জন এলাকায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আর পড়ুন: কুষ্টিয়ায় মিল মালিক সমিতির সভাপতির বাড়িতে গুলি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃত আয়েশা খাতুনের (৫০) মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল পরিবারের সদস্যরা। আয়েশা খাতুন মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের সুধিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা নিয়ামত আলীর স্ত্রী। অ্যাম্বুলেন্সটি ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কের মাঠের মধ্যে পৌছালে বাঁশের লাঠি বেরিকেট লক্ষ্য করে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে ৩৮০০০ টাকা ও একজোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
ডাকাতির শিকার যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন মিরপুরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৪২), কুষ্টিয়া সদর আইলচাড়া গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে শাহবুল, শিঊলি খাতুন (৪৬), এবং ফেরদৌসি (৩২)।
ঘটনার ভুক্তভোগী অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী রকিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বড় বোনের লাশ নিয়ে আমরা বাড়ি আসার পথে ছাতিয়ান কালিতলা থেকে ভারলগামী রাস্তার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পৌঁছালে রাস্তায় মাঝখানে পান বরজের কাঠি দিয়ে বেরিকেড দেওয়া ছিল। তখন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার কয়েকবার গাড়ির হর্ন দিলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। ঠিক কিছু সময় পরেই পান বড়জের মধ্য থেকে চার পাঁচ জন লোক উঠে এসে ড্রাইভারকে মারধর করে প্রথমে ৪ হাজার টাকা নেয়। অতঃপর গাড়ির মধ্যে আমাদের চারজনের থেকে আরও ৩৪ হাজার টাকা ও একজোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তাদের হাতে থাকা চারটি হাসুয়া দ্বারা আমাদের মারধর করে। তবে শেষ পর্যায়ে তারা লাশের গলায় কোনো স্বর্ণের গহনা কিংবা লাশের সঙ্গে টাকা পয়সা আছে কিনা সেগুলোও তল্লাশি করে। সব শেষে তারা রাস্তার বেরিকেট ছেড়ে দিলে আমরা লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
আর পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল নারীসহ ৪ জনের
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, গতরাত্রে যে স্থানটিতে ঘটনা ঘটেছে সেই স্থানটি একেবারেই গ্রামের মধ্যে। কিন্তু ওই মাঠের মেন সড়কটিতে আমাদের পুলিশ পাহারা ছিল। যেটা এলাকার স্থানীয়রা সকলেই জানে। গ্রামের মধ্যে রাস্তাটিতে এমন ঘটনা প্রথম। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এসডি/