তাহাজ্জুদে সিজদা দীর্ঘ করার ব্যাপারে হাদিসে যা বলা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৩ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৫

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে সালাত বা নামাজ দ্বিতীয়। অন্যতম ফরজ ইবাদত এটি। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)। অন্যদিকে একাধিকবার নামাজ আদায়ের কথা এসেছে হাদিসেও। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপরও। এমনকি খোদ মহান আল্লাহর কাছেও যথাসময়ে সালাত আদায় করা অধিক প্রিয় আমল।
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, এরপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ (রা.) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? রাসুল (সা.) বললেন, এরপর আল্লাহর পথে জিহাদ বা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২)
আরও পড়ুন: রাতের শেষ প্রহরের দোয়া কতটা উপকারী, জেনে নিন
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় অন্যতম একটি নফল ইবাদত। এর ফজিলত ও সওয়াবও অনেক। এছাড়া ফরজ নামাজের পর তাহাজ্জুদের নামাজ হলো সর্বোত্তম নামাজ। আবু বিশর জাফর ইবনু আবু ওয়াহশিয়্যাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি হুমায়দ ইবনু আব্দুর রহমান (রা.) কে বলতে শুনেছেন- রাসুল (সা.) বলেছেন, ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুদের সালাত। আর রমজানের সাওমের (রোজা) পর সর্বোত্তম সাওম হলো মুহররম মাসের সাওম (আশুরার রোজা)। (সুনান আন-নাসায়ি, হাদিস: ১৬১৭)
এ ক্ষেত্রে মধ্যরাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। আর শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। তবে তাহাজ্জুদ নামাজে সিজদা দীর্ঘায়িত করার কথাও হাদিসে এসেছে। খোদ রাসুল (সা.) এমনটা করতেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে পালন হবে পবিত্র আশুরা
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ১১ রাকাত সালাত (নামাজ) আদায় করতেন এবং তা ছিল তার (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজদা এত পরিমাণ (দীর্ঘায়িত) করতেন যে, তোমাদের কেউ (সিজদা থেকে) তার মাথা তোলার আগে ৫০ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফরজ) সালাতের আগে তিনি দু’রাকাত সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি ডান কাঁতে শুইতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তার কাছে মুয়াজ্জিন আসতো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৫৬)
এমএল/