শ্রীমঙ্গলে খেলার মাঠে মাটি ভরাট কাজে আওয়ামীলীগের নেতার বাধা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫


শ্রীমঙ্গলে খেলার মাঠে মাটি ভরাট কাজে আওয়ামীলীগের নেতার বাধা
ছবি: প্রতিনিধি

শ্রীমঙ্গলের খাইছড়া চা-বাগানের খেলার মাঠ সংস্কারকে কেন্দ্র করে চা-শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে কালিঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গণেশ লালা ও তার ভাই শকওত লালার বিরুদ্ধে।


এ ঘটনায় ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জির ছেলে শংকর বুনার্জি শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খেলার মাঠ সংস্কারের জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাঠ সংস্কারের দায়িত্ব পান ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জি। কাজ সম্পন্ন করে তদন্তের পর বিল উত্তোলন করেন তিনি।


তবে এই কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট দেন শকওত লালা। ওই পোস্টে মন্তব্য করেন শংকর বুনার্জি। এরপর ৫ জুলাই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে শংকর বুনার্জি শকওত লালার বাড়ির সামনে গেলে তার ভাতিজা গৌরব লালা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে।


অভিযোগে বলা হয়েছে, শকওত ও গণেশ লালা পরিকল্পিতভাবে বাগানের শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে ইউপি সদস্যকে অপসারণের পায়তারা চালাচ্ছেন। বাগানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।


খাইছড়া বাগানের একাধিক শ্রমিক যমুনা রিকিয়াশন, সঞ্চা নায়ক, প্রমিলা নায়েক, মিনা ভূঁইয়া ও মনি শুক্লা বৈদ্য বলেন,‘আমরা মাঠের কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছি। মাঠে মাটি ভরাট ও গোলবার বসানো হয়েছে। কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি, বরং মাঠটি এখন অনেক সুন্দর হয়েছে।’


এ বিষয়ে অভিযুক্ত গণেশ লালা ও শকওত লালা বলেন,‘ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম করে আসছেন। আমরা এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি এবং তার অপসারণ চাইছি।’


তবে ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জি দাবি করেন,‘সরকারি অনুদানের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করে মাঠ সংস্কার করেছি। গোলবার বসানো, মাটি ভরাটসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ করেছি। কোনো অনিয়ম হয়নি। বরং গণেশ লালা অতীতে মাঠসংক্রান্ত কাজে চাঁদা নিতে চাইতেন। এবার সুযোগ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আমার ছেলেকে মারধর করেছেন।’


তিনি আরও অভিযোগ করেন,‘স্থানীয় নির্বাচনে বারবার পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা এসব পরিকল্পনা করছেন। বাগানে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন।’



এসডি/