সংযোগ রাস্তা ছাড়াই ব্রীজ নির্মাণ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সংযোগ রাস্তা ছাড়াই ব্রীজ নির্মাণ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ না করায় কাজে আসছে না ব্রীজ। ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বস্তির ব্রীজ এখন এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের খুনিয়া ছড়ার পাড় নামক এলাকায় ওই ফুট ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। 

জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুরের অর্থায়নে রংপুর অঞ্চলে ভূ-উপরস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ওই ছড়ারপাড় এলাকায়  ১৮লাখ২৮হাজার ৫শত ৭০ টাকা ব্যয়ে মাঝারি আকারে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার (ফুট ব্রীজ) নির্মাণ করা হয়। ওই অর্থ বছরের ২০ মার্চ ব্রীজের কাজ শেষ করে দুই পাশে (এপ্রোচ সড়ক) রাস্তা নির্মাণ না করলেও অজ্ঞাত কারণে নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করে বিএডিসি। কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলেন লালমনিরহাটের মেসার্স মুক্তি এন্টারপ্রাইজ। বিএডিসির লোকজন বার বার পরিদর্শন করলেও রাস্তা নির্মাণে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যোগাযোগ বিড়ম্বনায় রয়েছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। 

ফুট ব্রীজটির দক্ষিণ পার্শ্বে খুনিয়া ছড়া বার হাত কালির পাঠ এলাকা। ব্রীজটির উত্তর পার্শ্বে মেদুয়ারকুটি নামক এলাকা। কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল দুই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। পায়ে হেঁটে ছাড়া বাইসাইকেল চালিয়েও ব্রীজের উপরে উঠার উপায় নেই। ব্রীজটি যেন দুই গ্রামের মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা না থাকায় প্রায় দুইবছর ধরে ব্রীজটি তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করতে পারলেও রিক্সা, ভ্যানসহ কোন যান বাহন পারাপার করা যায়না। বার বার রাস্তা নির্মাণের তাগিদ দিলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুর থেকে পরিদর্শন করা হলেও রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে অবসান হয়নি জনভোগান্তি। 

ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, সরকার যাতায়াত ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ১৮লাখ টাকা ব্যয়ে বিএডিসি যে ব্রীজটি তৈরী করেছে তার সুফল জনগন পাচ্ছেন না। ব্রীজটি যথাস্থানে নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ না করায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষজন।

এলাকার বাসিন্দা সোলায়মান আলী সবুজ বলেন, ছড়ারপার এলাকার ব্রীজ দিয়ে পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করতে পারলেও রিক্সা, ভ্যান পার করা যায় না। উঠতি ফসল পারাপার নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছে কৃষকরা। ব্রীজটি গ্রামবাসিকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে এমন দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জনবাণীকে জানান, তিনি ওই ফুট ব্রীজটি পরিদর্শন করে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুর কর্তৃপক্ষকে রাস্তা নির্মাণের কথা বলেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সময়ে ব্রীজের দু’পাশে রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা নেবেন।
এসএ/