পাগলা মসজিদের দানবাক্সে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিললো সাড়ে ১১ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ৩০শে আগস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে আবারও বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে ১০টি লোহার সিন্দুক ও ৩টি ট্রাঙ্ক খোলার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। গণনা শুরু হতেই মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ৩২ বস্তা ভর্তি অর্থ মেলে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা গণনা সম্পন্ন হয়, এরপর আরও গণনা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: জাভান হোটেল কর্তৃপক্ষের হামলায় আহত ৪, থানায় অভিযোগ
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন মসজিদ কমিটির সদস্য, স্থানীয় মাদ্রাসা-এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। পরীক্ষাজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে প্রায় ৫ মাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এ সময় নতুন করে আরও তিনটি দানবাক্স বসানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ
এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানবাক্স খুলে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। এবারের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নিরাপত্তায় ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, দানবাক্সের অর্থ দিয়ে শুধু মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার খরচই নয়, পাশাপাশি অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষদেরও সহায়তা করা হয়। ইতোমধ্যেই পাগলা মসজিদকে আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্সে রূপান্তরের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে, যার জন্য তহবিলে রয়েছে প্রায় ৯১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীর উদ্যোগে সাটুরিয়ায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতু
নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত প্রায় দুই শতাব্দী পুরোনো এই মসজিদটি আধ্যাত্মিক সাধক জিল কদর খানের আস্তানা থেকে মসজিদে পরিণত হয়। আজ এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এএস