একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা
তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। আদালতে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও কয়েকজন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের রায় ও আপিল প্রক্রিয়া
২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তারেক রহমান, বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ ওই রায়ে বলেন, মামলাটির বিচার ছিল “আইনসঙ্গত নয়” এবং “চার্জশিট আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।” বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে এবং ২০২৫ সালের ১ জুন আপিল বিভাগের অনুমতি পায়।
বিচারিক আদালতের রায় (২০১৮)
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২১ আগস্টের হামলা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও আহত হন এবং দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী, যাদের অনেকেই স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
মামলার আসামির তালিকা
এই মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী, সেনা কর্মকর্তা, জঙ্গি সংগঠনের নেতা, রাজনৈতিক নেতা এবং হানিফ পরিবহনের মালিকসহ প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিচার হয়। অনেক আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান প্রমুখ।